সাংবাদিক নাদিম হ,ত্যা: চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেলেন প্রধান আ,সা,মি
মোঃ আজাদ হোসেন নিপুঃ-
জামালপুর জেলা প্রতিনিধি।।
জামালপুর জেলা বকশিগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক নাদিম হত্যা হয়েছে এবং চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেয়েছে প্রধান আসামি। এ নিয়ে জামালপুর জেলা জুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বলছি, জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে জামালপুর জেলাজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার) এ. কে. এম. আব্দুল্লাহ-বিন-রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান যে, মাহমুদুল আলম বাবুকে আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এক রায়ে বরখাস্তের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। সেই অনুযায়ী পদ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা আসে মন্ত্রণালয় থেকে।”
এর আগে গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মাহমুদুল আলম বাবুকে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও জানা যায় যে, ২০২৩ ইং সালের ১৪ ই জুন পেশাগত দায়িত্ব শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন সাংবাদিক নাদিম। পরের দিন ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে চেয়ারম্যান বাবুকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে চেয়ারম্যান বাবু হাইকোর্টে রিট করেন বরখাস্তের আদেশ স্থগিত চেয়ে। আদালত চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তার বরখাস্ত আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। এই ছয় মাস ১৯ আগস্টের মধ্যে শেষ হবে। ফলে তিনি আর মাত্র ২০ দিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
মুঠোফোনে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউল রহমান বলেন, ‘ ইউএনও অফিস থেকে আমরা একটি চিঠি পেয়েছি, যেখানে চেয়ারম্যান বাবুর পদ ফিরে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে তাকে এলাকায় দেখা যায় না, তিনি হয়তো বকশীগঞ্জ শহরেই থাকছেন।’
একজন হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে পুনর্বহাল করায় এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে ন্যায়বিচারের ওপর আঘাত বলে মনে করছেন। তারা বলছেন, মামলা চলমান থাকা অবস্থায় এমন একটি পদে বহাল থাকার সুযোগ পাওয়া নৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমজনতার ও সংবাদকর্মীদের মনে প্রশ্নের ঘোরপ্যাঁচ খাচ্ছে….