ধ,র্ষ,ণ (বলাৎকার) মা,মলা,র পলা,তক আ,সা,মী ধর্মীয় শিক্ষক বগুড়ায় গ্রে,ফ,তার
মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার একটি জঘন্য শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ আরিফুল ইসলাম (৩৮) অবশেষে বগুড়া থেকে গ্রেফতার হয়েছে। র্যাব-১২, সিপিএসপি, বগুড়ার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ২৮(জুলাই)২০২৫ সোমবার রাতে বগুড়া শহরের চকযাদু রোড এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে আটক করেন। ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৬ জুন রাত আনুমানিক ১১টায় গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন কামদিয়া ইউনিয়নের চিয়ারগ্রাম কলোনী পাড়ার দারুল উলুম হাফেজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আসামী মোঃ আরিফুল ইসলাম, নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ১২ বছর বয়সী ছাত্র মোঃ আবু হুরায়রাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ (বলৎকার) করে। শুধু তাই নয়, বিগত ৬ মাস ধরে বিভিন্ন তারিখে একই কায়দায় শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগে জানানো হয়। এ ঘটনায় আবু হুরায়রার বাবা মোঃ আব্দুল মোমিন (৩৮) বাদী হয়ে গত ২৮ জুন ২০২৫ তারিখে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯(১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন (এফআইআর নং: ৫৯; জিআর নং: ২৯৫/২৫)। মামলার পর থেকে আসামী পলাতক ছিল। র্যাবের সদস্যরা জানায়, গোপন সূত্রে তারা জানতে পারে, মামলার আসামী বগুড়ার জামিয়া দারুল আরকাম মাদ্রাসায় আত্মগোপনে রয়েছে। এরপর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামীকে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে শিশু ধর্ষণের মতো অমানবিক ঘটনার পরেও আসামীর দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এবং মাদ্রাসায় আত্মগোপন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহল দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সঠিক তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে ভিকটিম যেন ন্যায়বিচার পায়, সে বিষয়ে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি প্রত্যাশা করছে এলাকাবাসী।