আবদুল্লাহ (আল-মামুন) ক্রাইম রিপোর্টার
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রহর চাঁদা এলাকায় ঘটে গেছে এই চাঞ্চল্যকর ও নিন্দনীয় ঘটনা।
স্থানীয় মোঃ হোসেন (পানি বৈদ্ধ) নামে এক ব্যক্তি তার পুত্রবধূকে দুই শিশু সন্তানসহ বাসা থেকে বের করে দিয়ে, ঐ পুত্রবধূর স্বামী (ফানি বৈদ্ধের ছেলে) ১ম ছেলে মোঃ সোহেলকে পুনরায় মহেশখালী এলাকার অপ্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৬ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করান বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহের জেরে মোঃ হোসেন বৈদ্ধ ও তার স্ত্রী তাদের পুত্রবধূর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে দুই সন্তানসহ পুত্রবধূকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়। এর অল্প কয়দিন পর মোঃ সোহেল একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করে তার পিতার সহযোগিতায় , যা বাংলাদেশে প্রচলিত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের সরাসরি লঙ্ঘন ।
অন্যদিকে সোহেলের প্রথম স্ত্রী ইরানি গণমাধ্যম কর্মীকে জানান, সে সোহেলের সাথে প্রেম করে ১৫/১৬ আগে বিয়ে করে চট্টগ্রাম শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। আনুমানিক বছর খানেক আগে সোহেল ইরানি ও দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সিদ্দিক পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন গলির ভিতর সোহেলের বাবার ভাড়া বাসায় উঠেন । উল্লেখ্য সোহেলের প্রথম সন্তান ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ।
সোহেলের স্ত্রী ইরানের দাবি আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ভরণপোষণের মাধ্যমে অন্য ভাড়া বাসায় রাখবে, নতুবা আমার মোহরানার প্রাপ্য টাকা আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় করবে । ইরানি আরো বলেন দুটোর একটাও না করে আমি এতিম ও অসহায় বিধায় আমাকে জোর করে মৌখিক তালাকের মাধ্যমে বাসা থেকে বের করে দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেন ।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী ও সন্তান থাকার পরও আবার একটি অপ্রাপ্ত বয়সী মেয়েকে বিয়ে দেওয়া খুবই অমানবিক এবং সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।
স্থানীয় প্রশাসন ও শিশু সুরক্ষা সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকাবাসী দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।