এস এম ফয়সাল রহমান, স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় পৈত্রিক সম্পত্তি হারিয়ে এক ব্যক্তি এখন নিজের প্রাণের ভয়ে শঙ্কিত। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি জোরপূর্বক জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন এবং বাধা দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা নিজেদের নকশাল বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম শেখ জানান, উপজেলার ৩নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের কায়েমখোলা ঈদগাহ মসজিদ সংলগ্ন তার পৈতৃক জমিটি মোহাম্মদ দুলু শেখ, পিতা- আলী আকবর শেখ মিন্টু, জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন।
সেই জমির ওপর একটি দোকানঘর তুলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসাও করছেন দুলু শেখ।
শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি আমার জমিতে নির্মিত দোকানটি সরিয়ে নিতে বললে দুলু শেখ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদ সৃষ্টি হলে দুলু শেখ তাকে নির্মমভাবে মারধর করেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম বটিয়াঘাটা থানায় বিষয়টি জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি অবশেষে আদালতে দুলু শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তিনি “দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ” এর প্রতিবেদকের কাছে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আমার প্রাণ সংশয়ে আছে, কারণ দখলকারীরা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত।”
এই অভিযোগের ভিত্তিতে “দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ” এর স্টাফ রিপোর্টার এস এম ফয়সাল রহমান একটি সরেজমিন তদন্ত পরিচালনা করেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত দুলু শেখের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রতিবেদকের নিজস্ব তথ্য অনুযায়ী, তার নামে দশটিরও বেশি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন যে, দুলু শেখ ও তার সহযোগীরা নকশাল বাহিনীর সাথে যুক্ত থাকতে পারে, যে কারণে সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়।
এলাকার ৩নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দুলু শেখ ও তার সহযোগী আসলাম শেখ এতটাই প্রভাবশালী যে তারা কারো কথাই শোনে না। চেয়ারম্যান বলেন, “তারা আমাকেও মানে না এবং আমার উপরেও আক্রমণ করতে আসে।”
এলাকার সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগী পরিবার এই শক্তিশালী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কবল থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছেন।