এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার,নিয়ামতপুর (নওগাঁ
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (Secondary Education Development Program – SEDP) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সম্প্রতি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো “পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন স্কিম (PBGSI)” এর আওতায় এক জাঁকজমকপূর্ণ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় উপজেলা পরিষদ হলরুম, নিয়ামতপুর, নওগাঁতে। উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকমণ্ডলী। এটি ছিল শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও উৎসাহব্যঞ্জক আয়োজন, যেখানে পারফরম্যান্সভিত্তিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ছাত্র/ছাত্রীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত জনাবা মোছাঃ মুর্শিদা খাতুন-উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নিয়ামতপুর, নওগাঁ,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-জনাব মোঃ রেজাউল করিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি), নিয়ামতপুর,নওগাঁ, জনাব মোঃ শাহ্ আলম শেখ- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার,জনাব মোসাঃ আছমা সাদিয়া-সহকারী পরিদর্শক-নওগাঁ শিক্ষা অফিস।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার, নওগাঁ ।উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ওসমমান শিক্ষার্থী, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান বিদ্যালয়ের মধ্যে যারা ২০২২,২০২৩ সালে এসএসসি সমমান ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় পারফরম্যান্স সূচকে এগিয়ে রয়েছে, তাদেরকে আর্থিক অনুদান ও সম্মাননা প্রদান করে উদ্ভুদ্ধ করা। এই স্কিমের অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান পদ্ধতি, পরীক্ষার ফলাফল, ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি, ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্ব, অবকাঠামোগত ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি সূচকে মূল্যায়ন করা হয়।অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, শিক্ষা শুধু একজন শিক্ষার্থীর জীবনের গঠন নয়, বরং একটি সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নের সোপান। একটি বিদ্যালয়ের সাফল্য নির্ভর করে সুষ্ঠু পরিচালনা, দক্ষ শিক্ষক, সচেতন অভিভাবক এবং উদ্যমী শিক্ষার্থীদের ওপর। তাই সরকার এই পারফরম্যান্স ভিত্তিক অনুদান স্কিম চালু করেছে, যাতে করে বিদ্যালয়গুলো নিজেদের আরও কার্যকর ও গুণগতভাবে উন্নত করার প্রতি আগ্রহী হয়।
প্রধান অতিথি মোছাঃ মুর্শিদা খাতুন বলেন,
“এ ধরনের পুরস্কার একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য যেমন গৌরবের, তেমনি পরবর্তীতে আরও ভালো কাজের অনুপ্রেরণাও বটে। প্রত্যেকটি বিদ্যালয় যদি এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক চেতনায় নিজেদের প্রস্তুত করে, তাহলে আগামী প্রজন্ম হয়ে উঠবে আরও মেধাবী ও মানবিক।”অনুষ্ঠানে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানসমূহকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র, এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এটি ছিল তাদের ধারাবাহিক পরিশ্রম ও দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতি।এমন একটি আয়োজনে প্রতিটি বিদ্যালয়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী একে অপরের সাফল্য উদযাপন করেছে। এ ধরনের অনুষ্ঠান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে একটি গঠনমূলক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে, যা শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।SEDP এর এই পদক্ষেপ আগামীতে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলেই সকলেই আশা করেন।