জুলাই অভ্যুত্থান মামলায় অনেক নির্দোষ মানুষকে আসামি করা হয়েছে, ২০ জনের স্থানে ২০০ জনকে আ,সা,মি করা হয়েছে মুন্সীগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আরাফাত ভূঁইয়া শান্ত
জেলা, প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে করা মামলা গুলোর বিচারিক কার্যক্রম যে পরিমাণ আগানো উচিত ছিল সেই পরিমাণ না আগালেও অনেকটা এগিয়েছে। কয়েকটা ক্ষেত্রে আমরা চার্জশিট (চুরান্ত প্রতিবেদন) দিয়ে দিয়েছি।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেল ৬ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের লিচুতলা এলাকায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, এখানে একটা বড় সমস্যা হইছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে আসামী সংখ্যা অনেকে যারা নির্দোশ তাদেরও আসামী করা হয়েছে। এখানে হয়তো একটা ঘটনা ঘটছে ২০ জন আসামী হওয়ার কথা ছিলো সেখানে ২০০ আসামী করা হইছে। এ জন্যই তদন্ত করতে দেরি হচ্ছে। । তবে খুব তাড়াতাড়ি যেন চার্জশিট দেওয়া শেষ হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিব।
শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য গৃহীত ৩৬ জুলাই’ নামের আবাসন প্রকল্পে ব্যয়ের দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে শিল্প,গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, একনেকের সদস্য হিসেবে আমরা অবগত হয়েছি। প্রকল্পটি পাশ করি নাই,আমরা আজকে প্রকল্পটি ফেরত দিয়ে দিছি।এর মধ্যে আমরা বেশ কিছু অসংগতি পেয়েছি। আমরা আবার রিভিউ করব। এ ব্যাপারে কিছু ইনভেস্টিগেশন করার দরকার আছে। এরপরে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।
গত বছরের জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহতদের কবর সংরক্ষণ ও গণভবনকে জাদুকর বানানোর প্রসঙ্গে আদিলুর রহমান খান বলেন, আমরা শহীদ পরিবারের সঙ্গে বসবো। তাদের সঙ্গে কথা বলব। সারাদেশের কবর গুলো সংরক্ষণের উদ্যােগ নেওয়া হয়েছে।এজন্য কাজ হচ্ছে। সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা গণভবনকে জাদুঘর বানানো হবে।
সেখানে ফ্যাসিবাদের পতন ও গত ১৫ বছরের পুরো ঘটনাটা থাকবে। সেটাকে সামনে রেখে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই শহীদরা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা করছি। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুই উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত,মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার।