1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
হরিনা হাটা বিপ্লবী ফুটবল ক্লাবের ফাইনাল ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত বলিয়াদী জমিদার বাড়ী: ইতিহাসের পাতা থেকে আধুনিকতার দিকে” ধামইরহাটে সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ কাঠ ভারতে পাচারকালে বিজিবির হাতে আ*টক বিক্রি ভালো হলেও দাম কম, লোকসানে নৌকা ব্যবসায়ীরা জলবায়ু পরিবর্তনের করাল ছায়া: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভয়াবহ ভাঙন কক্সবাজার হবে অর্থনৈতিক বিপ্লবের চালিকাশক্তি:- ৬ লেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন সময়ের দাবি মৌলভীবাজারে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কিওর-এর ফল উৎসব অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক পরিবারকে হাজি মুজিবের আর্থিক অনুদান বগুড়া কাহালুতে কারা*দণ্ডপ্রাপ্ত পলা*তক আসা*মি গ্রে*ফতার ফেনী সদর মমতাজ মিয়ার হাট আদর্শ ইসলামী পাঠাগারের কার্যালয়ে এক বিশেষ শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কক্সবাজার হবে অর্থনৈতিক বিপ্লবের চালিকাশক্তি:- ৬ লেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন সময়ের দাবি

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার হবে অর্থনৈতিক বিপ্লবের চালিকাশক্তি:- ৬ লেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন সময়ের দাবি

এম কে হাসান
বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার

পর্যটন রাজধানী, গভীর সমুদ্র বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের দ্বারপ্রান্তে কক্সবাজার: ছয় লেনের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন অপরিহার্য ।বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত কক্সবাজার জেলা আজ এক বহুমুখী সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গভীর সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, অর্থনৈতিক অঞ্চল,রামু সেনানিবাস (যাকে কৌশলগত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়) এবং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের মাধ্যমে কক্সবাজার শুধু দেশের নয়, আঞ্চলিক অর্থনীতির জন্য ও একটি গুরুত্বপূর্ণ হাব হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তম রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক চাপ এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক রামু সেনানিবাসের কৌশলগত গুরুত্বও অনস্বীকার্য। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ এবং ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ এখন আর কেবল একটি প্রস্তাব নয়, বরং এটি কক্সবাজারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং মানুষের জীবনমান উন্নতকরণের জন্য এক অপরিহার্য প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কক্সবাজারের বহুমুখী গুরুত্ব:- গভীর সমুদ্র বন্দর (মাতারবাড়ী), মাতারবাড়ীতে বাস্তবায়নাধীন গভীর সমুদ্র বন্দর বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই বন্দরের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিশাল পণ্য পরিবহনের জন্য একটি আধুনিক ও প্রশস্ত মহাসড়ক অত্যাবশ্যক। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র (মাতারবাড়ী), মাতারবাড়ীতে স্থাপিত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম ও জ্বালানি পরিবহনের জন্যও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক অঞ্চল, কক্সবাজারকে ঘিরে গড়ে উঠছে একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল, যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শিল্প কারখানা স্থাপনে আগ্রহী। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে মসৃণ যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে। বিশ্বের বৃহত্তম রোহিঙ্গা ক্যাম্প, উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম রোহিঙ্গা ক্যাম্প মানবিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি স্থানীয় অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ও রসদ পরিবহনের জন্য এই মহাসড়কের সক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীতকরণের কাজ চলমান। এই বিমানবন্দর চালু হলে পর্যটকদের আগমন বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে উন্নত সড়ক যোগাযোগ আরও জরুরি হয়ে পড়বে। পর্যটন রাজধানী, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে কক্সবাজারকে বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী বলা হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ দেশি-বিদেশি পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণে আসেন। ক্রমবর্ধমান পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে বর্তমান দুই লেনের মহাসড়কটি সম্পূর্ণরূপে অপ্রতুল। ছয় লেনের মহাসড়ক পর্যটকদের নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ যাতায়াত নিশ্চিত করবে এবং পর্যটন শিল্পকে আরও বিকশিত করবে। রামু সেনানিবাস, রামুতে অবস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনানিবাস দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। সামরিক সরঞ্জাম ও সেনাসদস্যদের দ্রুত ও নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করার জন্য এই মহাসড়কের আধুনিকীকরণ অপরিহার্য।
সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহ চিত্র:- বর্তমান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি দুই লেনের হওয়ায় এবং প্রতিনিয়ত যানবাহনের চাপ বাড়ায় এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রায়শই এই মহাসড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে বহু মূল্যবান জীবনহানি ঘটে এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়। গত কয়েক বছরে এই মহাসড়কে দুর্ঘটনার হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বহু সংগঠন ও নাগরিক মানববন্ধন করেছেন, যেখানে দাবি করা হয় যে ২০২৫ সালের শুধু মার্চে প্রায় ৫৪টি দুর্ঘটনায় অন্তত ৪০ জন নিহত ও ৭৩ জন আহত হয়েছেন এই সড়কে-বিশেষ করে লোহাগাড়া (চুনতি) অংশে। সেই অঞ্চলে মাত্র দুই‑লেন (১৬‑১৮ ফুট) রাস্তা এবং বিভীষিকাময় বাঁক ও স্পিডিং এর কারণে ৭২ ঘণ্টায় দু’টি দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। সরু রাস্তা, বাঁক, এবং ওভার টেকিংয়ের প্রবণতা এই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। ছয় লেনের মহাসড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহুলাংশে কমিয়ে আনবে এবং মানুষের জীবন রক্ষা করবে।

কক্সবাজারের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো এবং এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ছয় লেনের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন আর কোনো বিলাসিতা নয়, এটি একটি জরুরি প্রয়োজন। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ এই অঞ্চলের উন্নয়নের ধারাকে আরও ত্বরান্বিত করবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট