ডা. মোঃ ফইসাল নাহিদ পবিত্র নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়ামতপুর উপজেলা নতুন দৃষ্টান্ত
এম,এ,মান্নান,স্টাফ রিপোর্টার, নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আজ আর শুধু একটি সরকারি হাসপাতাল নয়—এটি হয়ে উঠেছে মানুষের নির্ভরতার প্রতীক। এর পেছনে যিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জনাব মোঃ ফইসাল নাহিদ পবিত্র। তাঁর দক্ষ পরিচালনা, মানবিক আচরণ এবং দায়িত্বশীলতায় গোটা অঞ্চলের মানুষ আজ স্বস্তি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।ডা. ফইসাল নাহিদ পবিত্র স্যার শুধু একজন চিকিৎসক নন, তিনি একজন সেবক—যিনি দিনরাত মানুষের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। হাসপাতালে নিয়মিত উপস্থিতি, রোগীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে তিনি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে হাসপাতালের সেবার মান আগের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের মুখে মুখে প্রশংসিত হচ্ছে।ডা. ফইসাল নাহিদ পবিত্র স্যারের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—তিনি অত্যন্ত সৎ, প্রশাসনিকভাবে দক্ষ এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী। তিনি চিকিৎসা সেবাকে শুধু দায়িত্ব হিসেবে নয়, বরং একটি ‘মানবিক দায়িত্ব’ হিসেবে দেখেন। গরিব ও অসহায় রোগীদের প্রতি তাঁর সহানুভূতি ও আন্তরিক সহযোগিতা নজিরবিহীন। তাঁর সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালের ওষুধ সরবরাহ, রোগী ব্যবস্থাপনা, জরুরি সেবা ও কর্মীদের সমন্বয়—সবকিছুই এখন সুশৃঙ্খল ও কার্যকর।যদি বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. ফইসাল নাহিদ পবিত্র স্যারের মতো সৎ, দক্ষ ও মানবিক নেতৃত্ব থাকে, তাহলে দেশের স্বাস্থ্যখাত সত্যিই এক নবজাগরণের পথ ধরে এগিয়ে যাবে। এ ধরনের কর্মকর্তারা জাতির জন্য আশীর্বাদ। তাঁদের আদর্শিক নেতৃত্ব, সময়ানুবর্তিতা ও নিবেদিত মনোভাব গোটা সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে। তেমনই এক প্রেরণার নাম হয়ে উঠেছেন ডা. ফইসাল নাহিদ পবিত্র।ডা. মোঃ ফইসাল নাহিদ পবিত্র স্যারের মতো কর্মকর্তা যদি দেশের সকল হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন তাঁর মত মন-প্রাণ উজাড় করে, তাহলে আমরা আর পিছিয়ে থাকব না। দেশের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে প্রান্তিক মানুষের দ্বারপ্রান্তে। আর সেই পথ ধরেই ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে একটি সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ—যেখানে স্বাস্থ্যসেবা হবে সকলের অধিকার, সকলের হাতের নাগালে।সম্প্রতি এই হাসপাতালেই জরায়ু অপারেশন (Hysterectomy) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা এই এলাকার জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। যেখানে সাধারণভাবে সিজারিয়ান অপারেশন করানোই ছিল একটি কঠিন বিষয়, সেখানে সরকারি পর্যায়ে জরায়ুর মতো জটিল অপারেশন সফল হওয়া নিঃসন্দেহে আল্লাহর অশেষ রহমত এবং কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা, দক্ষতা ও সাহসিক সিদ্ধান্তের বাস্তব প্রতিফলন।
এই জরায়ু অপারেশনটি স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালে সম্পন্ন হওয়ায়, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গ্রামীণ নারীরা নতুন করে আশা দেখতে শুরু করেছেন। এতদিন যেসব রোগীর পরিবার অপারেশনের জন্য বড় শহরে গিয়ে প্রচুর টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা করাতেন, এখন তাঁদের সেই কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।
ডা. ফইসাল নাহিদ পবিত্র স্যারের নেতৃত্বে এই ধরনের অস্ত্রোপচার প্রমাণ করে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও যদি ইচ্ছা, নেতৃত্ব ও যোগ্যতা থাকে তবে বড় বড় চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব।
জনাব ডা. মোঃ ফইসাল নাহিদ পবিত্র স্যারের নেতৃত্বে জরায়ু অপারেশন সফল হবার পর একজন রোগীর স্বজন বলেছিলেন,”আমরা ভাবিনি এখানে এত বড় অপারেশন হবে। আগে তো শুধু গরম পানি, স্যালাইন আর প্যারাসিটামলেই সীমাবদ্ধ ছিল সবকিছু। আজ আমরা গর্ব করি, আমাদের উপজেলায় এমন এক ডাক্তার আছেন, যিনি আমাদের আশা ফিরিয়ে দিয়েছেন।”