২৯টি ক্র্যাশিং মেশিন জ*ব্দ ও অবৈ*ধ পাথর ব্যবসায়ীকে ১ লক্ষ টাকা জরি*মানা।
হুমায়ুন কবির/ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহের নান্দাইলে পরিবেশ দূষণ এবং নরসুন্দা নদী দখলের অভিযোগে (২৩ জুলাই) বুধবার দুপুরে এক পাথর ব্যবসায়ীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে প্রায় ২৯টি অবৈধ পাথর ভাঙার ক্র্যাশিং মেশিন জব্দ করা হয়েছে। এ অভিযান পরিচালনা করেন মুশুল্লী ইউনিয়নের তারেরঘাট বাজার সংলগ্ন। এ অভিযানে ছিলেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিনা সাত্তার। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.ফয়জুর রহমান সহ সঙ্গীয় ফোর্স ও যৌথবাহিনী সাথে ছিলেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ও ইজারা ছাড়াই একটি প্রভাবশালী চক্র নরসুন্দা নদী দখল করে পাথরের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। মহাসড়কের পাশে এবং শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিকটবর্তী এলাকায় এসব পাথর ক্র্যাশিং মেশিনের বিকট শব্দে শব্দদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেন।
এছাড়াও পাথর ভাঙার ফলে সৃষ্ট ধুলাবালি বাতাসে মিশে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি যানবাহন চালক, যাত্রী এবং স্থানীয়দের চোখের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন সরেজমিনে পরিদর্শনে যায়। এসময় তারেরঘাট পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বাচ্চুকে পরিবেশ দূষণের দায়ে নগদ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে, ঘটনাস্থল থেকে ২৯টি ক্র্যাশিং মেশিন জব্দ করে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা জানান, এই অবৈধ ব্যবসার কারণে এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে ছিল। যদিও কিছু লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ও মেশিনে সাইল্যান্সার ছাড়া এ কার্যক্রম আইন অপরাধ।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং অনুমোদনহীন কোনো কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। আজকের অভিযান তারই অংশ। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও জানান, জব্দকৃত ক্র্যাশিং মেশিনগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।