মেহেদী হাসান খোকা
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকায় চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ী মামুনকে হত্যার চেষ্টায় হামলার ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২২ জুলাই মঙ্গলবার বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামুন বাদী হয়ে নামধারী পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলো, চরমোনাই র, চর খানম এলাকার আদম আলী শিকদারের ছেলে শাহ আলম শিকদার, তাদের সহযোগী এফাজ উদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে নিজামুল হক হাওলাদার, আব্দুল হাকিম শরীফের ছেলে বাহাদুর শরীফ, মোখলেছুর রহমান খানের ছেলে আয়নাল হক খান, মৃত আফসের হাওলাদারের ছেলে হারুনুর রশিদ হাওলাদার। এছাড়া অজ্ঞতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসামিরা চাঁদাবাজির ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ২২ জুলাই মঙ্গলবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এসে বাদী মামুন হাওলাদার, মামলার সাক্ষী আকিব হোসেন ওরফে আপেল এবং মেহেদী হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বিভ্রান্তিকর ভুল তথ্য দিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহ আলম জানান, আমাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা বিভ্রান্তকর তথ্য প্রচার সহ পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাই।
তবে সংবাদ সম্মেলন করে সত্য ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে না, এমনটাই জানান বাদী মামুন হাওলাদার।
মামলার বিবরণ বাদী সূত্রে জানা যায়, চরমোনাই তিন নং ওয়ার্ড ফরফরিয়া তলা গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদার সালুকা মিরাবাড়ি বাজারে ডেকোরেটার ও টেলিকমের ব্যবসা করে আসছে।
গত ১৯ জুলাই পিকনিকের নামে আসামি শাহ আলম শিকদার সহ অন্যান্যরা ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ঘটনার দিন শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে সালুকা মিরাবারি বাজারে শাহ আলম শিকদার, নিজামুল হক হাওলাদার, বাহাদুর শরীফ, আয়নাল হক খান, হারুনুর রশিদ সহ চার পাঁচ জন সহযোগী পরিকল্পিতভাবে ব্যবসায়ী মামুন উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। মামুনের ডান চোখ, মেরুদন্ড ও মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছে।
অন্যান্য ব্যবসায়ীরা আহত মামুনকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বর্তমানে বাদী ও তার সহযোগীরা আসামিদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।