নান্দাইলে গার্মেন্টসকর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষ*ণ, থানায় ৪ জনের বিরু*দ্ধে মাম*লাঃ-
মোঃ এমদাদুল হক ভূইয়া
নান্দাইল (উপজেলা) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাঁশহাটি এলাকার ম্যাজিক গার্মেন্টসের এক কিশোরী কর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা গত মঙ্গলবার (২১জুলাই) নান্দাইল মডেল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হতদরিদ্র পরিবারটি।
মামলার আসামিরা হলেন—উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের উন্দাইল গ্রামের
মো. মামুন মিয়া (২৫),
মো. মমিন উদ্দিন (২৩),
মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৪) ও
মো. শাকিল মিয়া (২৩)।
স্থানীয় ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি এলাকার কিশোরীটি ম্যাজিক গার্মেন্টসে কাজ করত। সেখানেই মামুন মিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৮ জুলাই রাত সাড়ে আটটার দিকে গার্মেন্টস ছুটির পর মামুন ও তার সহযোগীরা তাকে রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর কথা বলে অটোরিকশায় করে গাংগাইল ইউনিয়নের উন্দাইল গ্রামের একটি কলা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক মামুন ও তার সহযোগীরা পালাক্রমে কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে। সহযোগী শাকিল মিয়া ঘটনাস্থলে থেকে সহায়তা করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার সাক্ষী জাহিদ হাসান রকি জানান, “ঘটনার রাতে আমাদের পুকুরপাড়ে থাকা কলা বাগানে শব্দ শুনে টর্চলাইট নিয়ে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি মামুন, মমিন ও জাহাঙ্গীর মেয়েটিকে রেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে আমি এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানাই।”
ভুক্তভোগী কিশোরী সাংবাদিকদের জানান, “আমাকে রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর কথা বলে কলা বাগানে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আমি বাধা দিলে মারধর করে।”
ভুক্তভোগীর বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমি গরিব মানুষ, মেয়েটা গার্মেন্টসে চাকরি করত। আমার মেয়ের এত বড় ক্ষতি করেছে—আমি এর বিচার চাই। মামলা করার পর আসামিরা হুমকি দিচ্ছে।”
এদিকে ঘটনার পর স্থানীয় এক ধান ব্যবসায়ী তফাজ্জল হোসেন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় অভিযোগ না দিতে চাপ দেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”