সংস্কারের নামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নির্যা+তনের বাস্তবতা
মোঃ নাসির উদ্দিন সটাফ রিপোর্টার
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘সংস্কারের’ মুখোশ পরে দেশকে এক গভীর রাজনৈতিক সংকট ও সামাজিক উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সংস্কার নামধারী নানান দাবি-দাওয়ার আড়ালে গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার খর্ব করা হচ্ছে, যা এক ধরনের রাষ্ট্রীয় নির্যাতনে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ‘সংস্কার’ প্রকল্পে বাস্তবতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জনমত দমন, বিরোধী শক্তির ওপর নির্যাতন এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিসর সংকীর্ণ করে সরকার গঠন করেছে এমন একটি পরিবেশ, যেখানে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের স্বাভাবিক অধিকার হ্রাস পাচ্ছে।
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করে বিরোধীরা অভিযোগ করেন, তিনি ও তার গোষ্ঠী ‘সংস্কার’ নামে এই বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছেন, যার ফলে বাংলাদেশের নাম একটি নির্যাতনের দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে অভিহিত হচ্ছে। সরকারের সংস্কারের রূপকারগণ, তাদের নীতিমালা ও কর্মকাণ্ডগুলো ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লেও এগুলো নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো স্পষ্ট উদ্যোগ নেই।
দেশের ভবিষ্যত ও গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এখন সময় এসেছে এই ‘সংস্কার’ প্রকল্পের পুনর্মূল্যায়ন ও জনসাধারণের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার।否则 এই ‘সংস্কার’ নামক বিভ্রান্তিকর অঙ্গীকার আরও গভীর সংকট ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা থেকে পুনরুদ্ধার কঠিন হবে।