শহীদ সাগ্নিক হাসপাতালের বেডে জীবন-মৃ+ত্যুর সন্ধিক্ষণে, সহায়তার আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টোর সৈয়দ শিহাব উদ্দিন মিজান, মৌলভীবাজার,
সাহিত্য, গল্প, নাটক ও কবিতার আলোয় যিনি এক সময় সমাজকে আলোকিত করেছিলেন, সেই চারণকবি শহীদ সাগ্নিক আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা রোগভোগের কারণে তাঁর পরিবার প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানানো হয়েছে।
‘সাগ্নিক’ নামটি কবি দিলওয়ার যিনি নিজ হাতে দিয়েছিলেন—সেই নামের ভার বুকভরা ভালোবাসায় বহন করেছেন আব্দুস শহীদ, যিনি পরিচিত শহীদ সাগ্নিক নামে। কবিতা ও ছড়ার পাশাপাশি তিনি নিজেকে মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন। একজন শিক্ষক হিসেবে ৪০ বছরেরও বেশি সময় শমসেরনগরের শিক্ষাক্ষেত্রে রেখেছেন অসামান্য অবদান।
শুধু শিক্ষকতা নয়, তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষক আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন ও কৃষক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। আজন্ম বিপ্লবী এই মানুষটিকে কখনও কারো কাছ থেকে এক কাপ চা খেতে পর্যন্ত দেখা যায়নি। মানুষের জন্য লিখেছেন, মানুষের জন্যই কাজ করেছেন।
সত্তর ও আশির দশকের শক্তিশালী কাব্যচর্চায় শহীদ সাগ্নিক ছিলেন একটি উজ্জ্বল নাম। প্রচারবিমুখ এই কবির সাহিত্যকর্ম হয়তো আজও অনেকের অজানা, কিন্তু তাঁর অবদান সমাজের গভীরে গেঁথে আছে।
বর্তমানে তিনি মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসা ব্যয়ের ভার বহন করতে গিয়ে পরিবার চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। কিন্তু এমন এক সময়েও সমাজ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা বলছেন—”শহীদ সাগ্নিকরা সমাজে বারবার জন্মান না। এখনই সময়, তাঁকে মাথা উঁচু করে বাঁচিয়ে তোলার জন্য আমরা এগিয়ে আসি।”
সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এই মানুষটির পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি। সাগ্নিকের মতো মানুষের মাথা উঁচু থাকলেই সমাজ-সভ্যতা গর্ব করে দাঁড়ায়।