প্রশিক্ষণ বিমান দু*র্ঘট*নায় নিহ*ত ও আহত*দের প্রতি গভীর শোক
এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার,নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
সম্প্রতি দেশের আকাশপথে ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা জাতিকে শোকসন্তপ্ত করেছে। এক প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিহত ও আহত হয়েছেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য সকলের নিকট দোয়া চাচ্ছি।
এই দুর্ঘটনাটি দেশের একটি সামরিক বা বেসামরিক বিমান প্রশিক্ষণ ঘাঁটির নিকটবর্তী এলাকায় সংঘটিত হয়। যথারীতি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট চলাকালীন সময়েই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় বা আকাশেই প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়ে। বিমানে অবস্থানরত প্রশিক্ষণার্থী ও প্রশিক্ষক মুহূর্তেই দুর্ঘটনার শিকার হন। উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সামরিক ও বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।এই ধরণের প্রশিক্ষণ ফ্লাইট সাধারণত নতুন পাইলটদের দক্ষতা অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ অপ্রত্যাশিতভাবে এ রকম দুর্ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার যথার্থতা এবং প্রযুক্তিগত মান সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দেয়। বর্তমানে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে আশা করা যায়।প্রশিক্ষণ বিমানের এই দুর্ঘটনায় আমরা যাদের হারিয়েছি, তারা শুধু কিছু নাম নয় – তারা ছিলেন এই দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ, যারা আকাশ জয়ের স্বপ্ন দেখতেন। তাদের এই অসমাপ্ত যাত্রা জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। একদিকে পরিবার হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে, অন্যদিকে দেশ হারিয়েছে তার সেরা সন্তানদের একজন একজন করে।জাতি আজ তাদের জন্য শোক প্রকাশ করছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের প্রতি সম্মান জানাতে বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব স্তরে এই দুর্ঘটনার ব্যাপারে শোক ও সহানুভূতির ঢেউ উঠেছে। আমরা দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজন সতর্কতা ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রতিটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের পূর্বে যন্ত্রপাতির নিরীক্ষা, বৈমানিকদের মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাসের উপর আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন ও ঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখারও কোনো বিকল্প নেই।
শেষ কথা, এই দুর্ঘটনা আমাদের কাঁদিয়েছে, ভাবিয়েছে এবং সচেতন করেছে। আমরা যেন আর কোনো সম্ভাবনাময় প্রাণ এভাবে হারাতে না দেখি – সেটাই হোক আমাদের সকলের প্রতিজ্ঞা। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করি, এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি তাদের জান্নাত নসিব করেন।
– দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ এর সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের সাংবাদিকবৃন্দ।