বগুড়ায় যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম গ্রেফ*তার, আদালতে সোপর্দ ও রি*মান্ড মঞ্জুর
মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ায় বহুল আলোচিত একাধিক মামলার পলাতক আসামি যুবলীগ নেতা মোঃ আমিনুল ইসলাম (৫৫)–কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গত ১৯ জুলাই ২০২৫ সকাল আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটে, ডিবি বগুড়ার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তি ও নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার গুলশান থানাধীন নিকেতন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামি মোঃ আমিনুল ইসলাম বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা। তিনি অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন হত্যা মামলাসহ ২১টির অধিক মামলার পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত মামলা। তার বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় দায়েরকৃত মামলা নম্বর–১২, তারিখ–১৬/০৮/২০২৪, ধারা:
৩০২/৩৪/১০৯/১১৪ The Penal Code, 1860
৩/৫/৬ The Explosive Substances Act, 1908
অনুযায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল।
উল্লেখ্য, আমিনুল ইসলাম অতীতে রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০ জুলাই দুপুর ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত তাকে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি সমর্থিত কিছু নেতা-কর্মী ও ভুক্তভোগী জনতা। ক্ষিপ্ত হয়ে উচ্ছক জনতা মিলে গ্রেফতারকৃত আমিনুল ইসলামের দিকে ডিম নিক্ষেপ করে এবং “আমিনুলের ফাঁসি চাই” বলে স্লোগান দেন। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ (পাঁচ) দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং রিমান্ড শেষে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের পরিচায়ক, আবার কেউ কেউ এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন। এ মুহূর্তে, সবার চোখ তদন্তের ফলাফলের দিকে, যা নির্ধারণ করবে আমিনুল ইসলামের ভবিষ্যৎ।