আইসিটি অফিসার রাসেল রানা স্যার নিয়ামতপুর উপজেলার প্রযুক্তির বাতিঘর
এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার,নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে যে সব কর্মকর্তা গণ নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্য থেকে একজন উজ্জ্বল নাম হচ্ছে জনাব রাসেল রানা, তিনি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার আইসিটি অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রযুক্তিনির্ভর সেবা, দপ্তর ডিজিটাইজেশন, সাধারণ মানুষের মাঝে আইসিটি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া এবং আধুনিক দাপ্তরিক ব্যবস্থাপনায় তিনি যে ভূমিকা রেখে চলেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়।রাসেল রানা একজন মেধাবী ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি গভীর আগ্রহ তাকে তথ্যপ্রযুক্তিতে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে দক্ষতা অর্জনের প্রতি মনোনিবেশ করেন। তথ্যপ্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগ এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নে তার চিন্তা ও কার্যক্রম একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ওঠে। এসব দক্ষতার ফলেই তিনি সরকারিভাবে আইসিটি অফিসার হিসেবে নিয়ামতপুর উপজেলায় নিয়োগ পান।নিয়ামতপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে রাসেল রানা প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনাকে জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো হলো:
উপজেলা অফিসসমূহে ডিজিটাল রেকর্ড সিস্টেম চালু করেছেন।ই-ফাইলিং, ই-নথি ও সরকারি দপ্তরের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টারগুলোর মনিটরিং ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে কার্যক্রমকে গতিশীল করেছেন।স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিক্ষা ও অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালা পরিচালনা করেছেন।সাধারণ নাগরিকদের জন্য আয়োজিত সাইবার সচেতনতা ও প্রযুক্তি বিষয়ক ক্যাম্পেইন পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সরকারি ওয়েবসাইট হালনাগাদ, নাগরিক সেবা ডিজিটালাইজেশন এবং জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রম তদারকি করেছেন। রাসেল রানা কেবল একজন প্রযুক্তি কর্মকর্তা নন, তিনি একাধারে জনবান্ধব, সদালাপী ও সহযোগিতাপূর্ণ মানুষ। সাধারণ মানুষ যখন বিভিন্ন অনলাইন সেবার বিষয়ে দ্বিধায় থাকেন, তখন তিনি ধৈর্যসহকারে তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন, সাহায্য করেন এবং প্রক্রিয়াটি শেখান। তার এমন ব্যবহার ও সহযোগিতার মনোভাবের জন্য উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ তাকে একজন “জনপ্রিয় সরকারি কর্মকর্তা” হিসেবে বিবেচনা করে।প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া ছাত্র কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার—সবাই রাসেল রানার প্রযুক্তি-সুলভ, মানবিক ও সেবামূলক মনোভাবের প্রশংসা করে থাকেন।তাঁর এই নিরবিচারে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে দক্ষতাকে আরও শাণিত করেছেন এবং তা বাস্তবক্ষেত্রে প্রয়োগ করে চলেছেন।জনাব রাসেল রানা একজন আধুনিক প্রযুক্তি নেতৃত্বের প্রতীক। তিনি প্রমাণ করেছেন, আন্তরিকতা, কর্মদক্ষতা এবং আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান থাকলে একজন ব্যক্তি একটি উপজেলার প্রযুক্তির চিত্রই বদলে দিতে পারেন। তাঁর মতো কর্মঠ, উদ্যমী এবং সৃজনশীল কর্মকর্তা প্রতিটি উপজেলায় প্রয়োজন, যারা শুধু দায়িত্ব পালন করেই ক্ষান্ত হন না—বরং জনসেবাকে হৃদয়ে ধারণ করেন।আইসিটি অফিসার রাসেল রানা এখন নিয়ামতপুর উপজেলার প্রযুক্তিগত অগ্রগতির বাতিঘর—একটি অনুকরণীয় মডেল, যাকে ঘিরে গড়ে উঠছে এক নতুন ডিজিটাল ভবিষ্যৎ।