বগুড়া শহরে দেহ*ব্যব*সা, মা*দক ও জু*য়ায় “আবাসিক হোটেল” নামক অভয়াশ্রম
মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া:
বর্তমান বাংলাদেশ উন্নত ও স্মার্ট রাষ্ট্রে রূপান্তরের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু সেই অগ্রযাত্রার মাঝেই কিছু অদৃশ্য, অশুভ শক্তি আমাদের যুব সমাজকে ঠেলে দিচ্ছে এক ভয়াবহ নৈতিক বিপর্যয়ের দিকে। বগুড়া শহরের বেশিরভাগ আবাসিক হোটেল এখন যেন একেকটি পতিতালয়, মিনি বার ও জুয়ার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। যেখানে সুরক্ষা নয়, সেখানে চলে চরিত্র হরণ।আবাসিক হোটেলগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আশ্রয়স্থল নয়, বরং ধ্বংসের চূড়ান্ত গন্তব্য হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে এসব হোটেলে আশ্রয় নেয়। কেউ কেউ প্রতারণার শিকার হয়ে, আবার কেউ লোভের ফাঁদে পা দিয়ে নিঃশেষ হয়ে ফিরে আসছে।ছেলেরা মাদকে আসক্ত হচ্ছে — ডিজে পার্টির নামে চলে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়া, মদ, ইয়াবা, ও অশ্লীলতা। কেন হচ্ছে এসব? শহরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা নামিদামি আবাসিক হোটেল গুলোকে টার্গেট করছে অসাধু চক্র।
আবাসিক হোটেলের কিছু মালিক, ম্যানেজার ও স্থানীয় দালালদের যোগসাজশে চলছে মাসিক চুক্তিতে পতিতাবৃত্তি ও মাদকের রমরমা ব্যবসা।
একবার ধরা পড়লেও, কিছুদিন পর সিলগালা খুলে আবার সেই আগের পথে ফিরে যায় তারা।
একাধিকবার দেখা গেছে, এসব হোটেল থেকে নারী-পুরুষ গ্রেফতার করা হলেও, বিচার ও শাস্তি কার্যকর না হওয়ায় “সিস্টেম” নামের ছত্রছায়ায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা আগের চেয়েও বেপরোয়া হয়ে। বিনে তহবিলের লাভজনক ‘অপরাধ শিল্প’!
এই হোটেল ব্যবসায় ৩টি পক্ষ লাভবান হয়: ১ম হোটেল মালিক,২য় পতিতা বা ব্যবহৃত নারী, ৩য় দালাল ও ম্যানেজ পাটি । মাদক, জুয়া এবং নারী ব্যবসার লাভের ভাগ চলে যায় ব্যবস্থাপনা কমিটিরগোপন সদস্যদের পকেটে। বগুড়ার,মাটিডালি,চারমাথা, ফুলতলা, শহরের প্রাণকেন্দ্রের আশপাশে এমনকি কিছু ভাড়া ফ্ল্যাট ও বাড়িতে গড়ে উঠেছে মিনি পতিতা কেন্দ্র।এই কাজগুলো কি হোটেল মালিকরা নিজেরা করে?
না — কিছু তথাকথিত “সুশীল সমাজের” সদস্য, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন, বা স্থানীয় প্রভাবশালী মহল “সুবিধা” দিয়ে সুযোগ করে দেয়।
সচেতন জনগণের চোখের আড়ালে তারা যুব সমাজ ধ্বংসের জাল বুনে চলেছে। সুশীল সমাজ বলছে, শুধু গ্রেফতার নয়, স্থায়ী প্রতিরোধ গড়তে হবে ।
অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে — সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে যাচ্ছে তা জানার দায়িত্ব আপনার ।
পুলিশ, প্রশাসন ও মিডিয়াকে একসাথে কাজ করতে হবে । মানবাধিকার সংস্থা ও ও সুশীল সমাজ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ।সচেতন সমাজকে রাস্তায় নামতে হবে — এইসব অপরাধীর বিরুদ্ধে এই অপরাধীদের মুখোশ খুলে দিন ।বগুড়াকে বাঁচাতে হলে, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে,
এই হোটেল সিন্ডিকেট, ডিজে পার্টির অশ্লীলতা, মাদক কারবার ও জুয়া চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তেই হবে। অন্যথায়, আমরা হারিয়ে ফেলবো একটি জাতি—একটি ভবিষ্যৎ।