জাতীয় চিনি কুকি দিবস
এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার,নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি,দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
বিশ্বজুড়ে নানা ধরণের দিবস পালন করা হয়, যার মধ্যে কিছু দিবস আমাদের খাদ্যসংস্কৃতি ও আনন্দঘন ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এমনই একটি মিষ্টি ও আনন্দময় দিন হলো “জাতীয় চিনি কুকি দিবস”, যা প্রতিবছর ৯ জুলাই তারিখে পালন করা হয়। এই দিনটি কেবলমাত্র একটি বিস্কুট বা কুকি খাওয়ার দিন নয়, বরং এটি একটি বিশেষ উপলক্ষ যেখানে পরিবার-পরিজন একত্রিত হয়ে নিজের হাতে তৈরি করা চিনি কুকি ভাগ করে নেয় এবং ভালোবাসার বন্ধন আরও গভীর করে।চিনি কুকি (Sugar Cookie) হলো একধরনের নরম, সুস্বাদু ও মিষ্টি বিস্কুট জাতীয় খাবার। সাধারণত ময়দা, মাখন, ডিম, চিনি, বেকিং পাউডার ও ভ্যানিলা ফ্লেভার দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, দেখতে তেমনই আকর্ষণীয়। বিভিন্ন আকারে কুকিগুলো বানানো হয়— যেমন তারা, ফুল, হৃদয়, হাসিমুখ ইত্যাদি। অনেকে কুকির ওপর রঙিন আইসিং, চকোলেট চিপস, অথবা ছোট ছোট ক্যান্ডি দিয়ে সাজিয়ে তোলে, যা শিশুদের কাছে বিশেষভাবে প্রিয়।এই দিনটি মূলত খাদ্য-সাংস্কৃতিক আনন্দ ভাগাভাগির একটি উপলক্ষ। জাতীয় চিনি কুকি দিবস পালনের কিছু প্রধান উদ্দেশ্য হলো-রান্নার প্রতি ভালোবাসা জাগানোপরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করাসৃজনশীলতা ও নিজস্ব রেসিপি ভাগাভাগি করানিজ হাতে তৈরি কিছুর মধ্যে আনন্দ খোঁজা
এই দিনটি বেকিংয়ের প্রতি আগ্রহী মানুষদের উৎসাহিত করে এবং শিশুদের মাঝে সৃজনশীল চিন্তা জাগিয়ে তোলে।জাতীয় চিনি কুকি দিবস নানা উপায়ে পালন করা হয়। যেমন-পরিবারের সদস্যরা একত্র হয়ে ঘরে কুকি বানায়।শিশুদের জন্য কুকি তৈরির প্রতিযোগিতা বা সাজানোর কার্যক্রম আয়োজন করা হয়।বিভিন্ন বেকারি ও দোকানে বিশেষ ছাড়ে চিনি কুকি বিক্রি করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ নিজেদের বানানো কুকির ছবি শেয়ার করে #NationalSugarCookieDay হ্যাশট্যাগ দিয়ে।কেউ কেউ কুকি বানিয়ে প্রতিবেশী বা বন্ধুকে উপহার দেয়, যা সামাজিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে।
চিনি কুকির উৎপত্তি হয় বলে ধারণা করা হয় ১৭শ শতকের দিকে, যখন জার্মান অভিবাসীরা আমেরিকার পেনসিলভানিয়া এলাকায় এসে সহজ কিছু উপাদান দিয়ে মিষ্টি কুকি বানাতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। উৎসব, বড়দিন, হ্যালোউইন ইত্যাদি বিশেষ দিনে এই কুকি একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠে।
চিনি কুকি শুধু একটি খাবার নয়, বরং এটি আমাদের স্মৃতির অংশ। অনেক শিশুর প্রথম রান্না শেখার অভিজ্ঞতা কুকি বানানোর মাধ্যমেই ঘটে। মা-মেয়ে, ভাই-বোন বা দাদা-নাতি একসঙ্গে বসে কুকি বানানো মানেই পরিবারে ভালোবাসা, একাত্মতা ও বন্ধনের নতুন ছোঁয়া।জাতীয় চিনি কুকি দিবস কেবল একটি খাবার উৎসব নয়, বরং এটি একটি পারিবারিক বন্ধনের প্রতীক। চিনি কুকির মতো আমাদের জীবনও হোক মিষ্টিময়, রঙিন ও আনন্দঘন। এই দিনে আমাদের উচিত শুধু কুকি খাওয়া নয়, বরং আমাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো, নিজের হাতে কিছু তৈরি করা এবং জীবনের মিষ্টতা উপভোগ করা।