কালিদাস পাহালিয়া নদীর ভাঙ্গনে বিলুপ্ত হচ্ছে নদীর তীরবর্তী জনপদ
মোহাম্মদ হানিফ ফেনী সদর প্রতিনিধি।
ফেনী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায়, কালিদাস পাহালিয়া নদীর ভাঙ্গনে বিলুপ্ত হচ্ছে লেমুয়া ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকা গুলো। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এর দক্ষিন পাশে কালিদাস পাহালিয়া নদীর পুর্ব ও পশ্চিম পাশে নিয়ে গড়ে উঠে এক সময়ের আলোচিত ঐতিহ্যবাহী ৯ নং লেমুয়া ইউনিয়ন। লেমুয়া ইউনিয়নের বুক চিরেই কালিদাস পাহালিয়া নদী। নদীর দু’ই পাশ্ববর্তী তীর ঘেষে রয়েছে বসত বাডিঘর ও চাষাবাদের আবাদি ফসলি জমি। কিন্ত দুংখজনক হলে ও ফেনী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে উদাসীনতার কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টি ও ভারতের উজান ভাটির পানির খরাশ্রোতের কারণে নদীর দু পাশের বসত বাডিঘর ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলুপ্ত হচ্ছে। এখন থেকে যদি প্রয়োজনী নদী ভাঙ্গন রোধ করা না হয় তা হলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে লেমুয়া ইউনিয়ন এর বেশ কিছু এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি লেমুয়া বাজার সংলগ্ন কালিদাস পাহালিয়া নদীর পশ্চিম পাশে ব্রীজএর সাথে বসত বাডিঘর, লেমুয়া বাজারে দক্ষিন পাশে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,লেমুয়া সওদাগর পাডার বেশকিছু বাড়িঘর ও ফসলি জমি।লেমুয়া নেয়ামতপুর ধুমের উপর এলাকা,দক্ষিন চাঁদপুর জলদাস বাড়িঘর,লেমুয়া পশ্চিম মীরগঞ্জ হাজীবাড়ি এলাকা বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।লেমুয়া গাডঘর এলাকা পূর্ব মীরগন্জ কালিদাস পাহালিয়া নদী তীরবর্তী এলাকা, ৯নং ওয়ার্ড রামপুর নদীর তীরবর্তী এলাকার বসতঘর ও ফসলি জমি।
লেমুয়া ইউনিয়ন বাসীর দাবী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মাননীয় জেলা প্রশাসকের একটু সু- নজর দিলেই লেমুয়া ইউনিয়ন এর কালিদাস পাহালিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকা গুলো নদীগর্ভে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। লেমুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও লেমুয়া ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান ফেনী সদর উপজেলা শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান জানাব ফেরদৌস আহমেদ কৌরাইশী বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে কিন্ত তারা কোন পদক্ষেপ নেন নাই।তাই আবার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসক বারাবর আবেদন করা হয়েছে।লেমুয়া বাসী অপেক্ষায় রহিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কি পদক্ষেপ নেন।