নাশ*কতা মা*মলা*য় গ্রেফ*তার যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ান বাদশা
এম,এ,মান্নান,স্টাফ রিপোর্টার,নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি,দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে একটি ঘটনায় – উপজেলা যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বাদশা (২৮)-কে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তাঁর পিতার নাম মৃত আফাজ উদ্দীন মোল্লা, যিনি নিজ এলাকায় একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আবু সুফিয়ান বাদশা একজন উদ্যমী, সংগঠিত ও তরুণ রাজনীতিক হিসেবে নিয়ামতপুরে সুপরিচিত নাম। তিনি আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বহুবার মুক্তিযোদ্ধা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ নানা ঐতিহাসিক দিবসে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিক্ষামূলক কার্যক্রম।
তবে হঠাৎ করেই তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন একটি পূর্বের রাজনৈতিক সহিংসতা ও সম্পদ ধ্বংসের মামলার তদন্ত চলাকালে তাঁকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে এবং গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এই গ্রেফতারের খবরে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় জনগণ, রাজনৈতিক কর্মী এবং যুবলীগের একটি অংশ এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে। তাঁদের অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না, একজন মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় বিশ্বাসী ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত নেতা কীভাবে এ ধরনের মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।
নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, “আবু সুফিয়ান বাদশার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি একটি নিয়মিত তদন্তাধীন নাশকতা মামলা। প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন, আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
আবু সুফিয়ান বাদশার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ মহল মনে করছেন, এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত হতে পারে। তাদের দাবি, এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা এবং সাংগঠনিক দক্ষতা অনেকের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এই মামলা দায়ের ও গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, “যদি কেউ দোষী হয়, তবে অবশ্যই তাকে শাস্তি পেতে হবে। তবে নিরপরাধ কাউকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার করা উচিত নয়।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিয়ামতপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় জনগণও বিষয়টির সঠিক ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের প্রত্যাশা করছেন।