আঃ হালিম আতিক,প্রভাতী বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর শামসুল আলম দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও আজও নির্মিত হয়নি একটি টেকসই পাকা ভবন। ফলে প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ টিনশেড কক্ষে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। বর্ষা মৌসুমে এই দুরবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়।
১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। শিক্ষক রয়েছেন ১৪ জন। শুরু থেকেই মাদ্রাসার পাঠদান চলছে কাঁচা কাঠামোয়। বিগত দুই যুগে বহুবার সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে ভবনের জন্য আবেদন জানানো হলেও কোনো বরাদ্দ মেলেনি।
মাদ্রাসার সুপার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “বিগত সরকারগুলোর সময় কোনো আর্থিক বা অবকাঠামোগত উন্নয়ন পাইনি। ক্লাসরুমগুলো এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে দরজা-জানালা ভাঙা, বৃষ্টির সময় ভিতরে পানি ঢুকে পড়ে, ঠিকমতো ক্লাস নেওয়া যায় না। দেশের বিভিন্ন স্থানে চারতলা ভবন হলেও আমরা এখনো কোনো ভবন পাইনি। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ—আমাদের যেন একটি পাকা ভবনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।”
এক শিক্ষার্থী জানায়, “বৃষ্টির দিনে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে। মাথার ওপর টিনের ছাদ, একটু বাতাস হলেই ভয় লাগে। তবুও ক্লাস করি।” অভিভাবকরাও একই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা প্রতিনিয়ত শঙ্কায় থাকেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার যেখানে উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে, সেখানে একটি মাদ্রাসা ভবন পেতে দুই যুগ লেগে যাওয়া সত্যিই লজ্জার বিষয়। যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”
ঘাটাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস মো.শফিকুল ইসলাম জানান,বিষয়টি অবগত আছি, মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের প্রস্তাব উর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠাবো।
এলাকাবাসী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি—দ্রুত সময়ের মধ্যে রসুলপুর শামসুল আলম দাখিল মাদ্রাসায় একটি নিরাপদ ও আধুনিক পাকা ভবন নির্মাণ করা হোক। তা না হলে একটি সম্ভাবনাময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।