মোঃরাছেল বরিশাল আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রতিবন্ধী নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের এক জনকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানির পর অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে প্রভাবশালীরা। উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের মধ্য চাত্রিশিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী নারী ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়, গত প্রায় পাঁচ মাস পূর্বে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে পাশের বাড়ির দুই সন্তানের জনক ভ্যান চালক পলাশ সরদার। এ সময় ওই ভুক্তভোগী ওই নারীকে কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয় দেখানো হয়। ধর্ষকের দেখানো ভয়ে কাউকে কিছুই জানায়নি ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী নারী। এভাবে প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও বিষয়টি থাকে সবার অজানা। হঠাৎ প্রতিবন্ধী ওই নারীর গর্ভধারণের লক্ষণ সমূহ দেখা দিলে করানো হয় পরীক্ষা। তাতেই জনাযায় তিনি গর্ভবর্তী। গর্ভধারণের বিষয়টি সম্পর্কে ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী নারীর কাছে জিজ্ঞেস করলে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন সে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানির পর অর্থের বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় ছালাম মোল্লাসহ কতিপয় লোকজন। তাদের কথামতই এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ পর্যন্ত করতে পারেননি ভুক্তভোগী ওই পরিবারের লোকজন।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, গত রমযানের আগে একদিন নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করে পাশের বাড়ির পলাশ সরদার। এ সময় ঘটনাটি কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয় দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী নারীর মা জানান, ধর্ষনের আগে ও পরে ভয় দেখানো হয় তার মেয়েকে। যেকারনে কাউকে কিছু জানাননি তিনি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন কিছু প্রভাবশালী। তবে ধামাচাপা নয় নায্য বিচার দাবী করেন তিনি।
তবে ধামাচাপা নয়, বিষয়টি নিয়ে আপোস-মিমাংশার কথা বলার হয়েছে বলে জানান ওই প্রভাবশালী ছালাম মোল্লা।
ধর্ষনের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত ওই যুবক পলাশ সরদার জানান, সে ওই নারীকে ঠিকমত চিনেনই না। ষরযন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আর অর্থের বিনিময়ে ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপার সর্ম্পকে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
এলাকাবাসী জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই নারীর অন্যায় করা হয়েছে। শারীরিকভাবে অক্ষম ভুক্তভোগী নারীর সাথে দুর্বলতার সুযোগে যে ব্যাক্তি এই ধরণের অমানবিক কাজ করেছে তার বিচার হওয়া উচিৎ। কিছু লোক ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য পায়তারা করছে। চাপ প্রয়োগ করে নিতে দেয়া আইনি ব্যবস্থা হয়নি ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে। তারা আরো জানান, প্রভাবশালীরা যদি ধর্ষককে বাঁচাতে প্রতিবন্ধী ওই নারীর গর্ভের পাঁচ মাসের ভ্রুণকে হত্যা করা হয় সেটিও হবে অপরাধ ও সামাজিক অবক্ষয়। তাই ধর্ষক ও ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারীদের বিচারের দাবী জানিয়েছে তারা।
ধর্ষক পলাশ কিংবা যে-ই হোক না কেনো, অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপ দিয়ে একটি ভ্রুণ হত্যা! নাকি আইনের মাধ্যমে নায্য বিচার। কোনটি জুটবে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী এই নারীর জীবনে এমনটাই প্রশ্ন সকলের।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, চাত্রিশিরা গ্রামের প্রতিবন্ধী ওই নারী ধর্ষনের ঘটনায় থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।