হেলাল উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি, নালিতাবাড়ী
(শেরপুর), ০২ জুলাই ২০২৫:
২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাতের আওতায় “আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস কর্মসূচি”র শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস, নালিতাবাড়ীর উদ্যোগে বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারির ক্ষতিপূরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ফারজানা আক্তার ববি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নালিতাবাড়ী, শেরপুর। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ মশিউর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারির মালিকগণ।
বক্তারা আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের পরিবেশ ও কৃষির উপর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তারা বলেন, এসব গাছের অতিমাত্রায় রোপণ জীববৈচিত্র্য হ্রাস, মাটির উর্বরতা কমে যাওয়া এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
আকাশমণি গাছের ক্ষতিকর দিকগুলো:
পাতা সহজে পচে না, জমির উর্বরতা ও জলধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
অন্যান্য গাছের অঙ্কুরোদ্গমে বাধা সৃষ্টি করে।
অতিরিক্ত পানি শোষণ করে, যা ফসল ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
ঘনবসতিতে জন্মে, আলো-বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়।
দাহ্যতা বেশি, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়ায়।
ইউক্যালিপটাস গাছের ক্ষতিকর দিকগুলো:
ভূগর্ভস্থ জলস্তর দ্রুত হ্রাস করে।
Allelopathy-এর কারণে আশপাশের উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।
একজাতীয় বন তৈরি করে, জীববৈচিত্র্য হ্রাস পায়।
পাতাগুলো সহজে পচে না, মাটির জৈবপদার্থ কমে যায়।
স্থানীয় জলবায়ুর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বক্তারা পরিবেশবান্ধব কৃষির স্বার্থে এই দুই প্রজাতির পরিবর্তে দেশীয় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।