ফুলবাড়িয়ায় পরক্রীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে স্ত্রীকে করলেন ঘর ছাড়া। অকালে ঝরলো নবজাতকের প্রাণ।
মো: মাহবুবুল আলম। উপজেলা প্রতিনিধি, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার, কান্দনিয়া বড়ভিটা এলাকায়,” ইব্রাহিম” নামে এক সৌদি প্রবাসী পরক্রীয়ায় ঝরালে তার স্ত্রী টের পেয়ে যায়।
স্ত্রীর গর্বে থাকা সন্তানকে ঔষধ খাওয়ায়ে সন্তান নষ্ট করে তার মাতা-পিতাকে দিয়ে। স্বর্ণাঅলংকার রেখে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে এনিয়ে থানায় অভিযোগ।
উল্লেখ্য- একই উপজেলার জঙ্গলবাড়ি এলাকার” রহিম মিয়ার “মেয়ে প্রবাসীর স্ত্রী আসমা আক্তারের থানায় অভিযোগ সূত্রে ও তার ভাষ্য মতে বিবাদী-১। মোঃ ইব্রাহীম (৩৪) পিতা-মোঃ আঃ হাকিম, ২। মোঃ আঃ হাকিম (৬৫) পিতা-মৃত হাতেম ফকির, ২। মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন (৬০) স্বামী-মোঃ আঃ হাকিম, সর্ব সাং-কান্দানিয়া (বড়ভিটা), থানা-ফুলবাড়ীয়া, জেলা-ময়মনসিংহ। উপরোক্ত ১নং বিবাদী আমার স্বামী, অপর বিবাদীদ্বয় শ্বশুর-শ্বশুরী। ১নং বিবাদীর সাথে বিগত ২০১৯ সালে পারিবারিক ভাবে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক কাবিন (তিন লাখ) মূলে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। তখন বিবাদীদের ছেলে ১নং বিবাদী সৌদিতে ছিল। এদিকে প্রবাসীর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন। উক্ত বিবাদীদ্বয়ের ছেলে ১নং বিবাদী বিয়ের ৬(ছয়) মাস পরে দেশে আসে। ১নং বিবাদী ০৪ (চার) মাস ঘর সংসার করিয়া পুনরায় বিদেশে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে প্রবাসীর স্ত্রী শ্বশুর বাড়ীতে অবস্থানকালে উপরোক্ত বিবাদীদ্বয় তাহাদের বাড়ী বিল্ডিং ঘর করার জন্য যৌতুকের টাকার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। পরে প্রবাসীর স্ত্রী আসমা আক্তার তার পিতা মাতাকে বিষয়টি জানাইলে তাহারা তাদের মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করিয়া বিবাদীদের নগদ-৪,৫০,০০০/-টাকা দেয় বলে থানায় এবং মৌখিক ভাষ্যে জানা যায়। একপর্যায়ে প্রবাসী তার স্ত্রীকে সৌদিতে নিয়া যায়। বিবাদী সৌদিতে আল-ফাহাদ কোম্পানীতে চাকুরী করে এবং জেদ্দা বুরিমান থাকে। সেখানে (০৬) মাস ১নং বিবাদীর বাসায় এক সাথে ঘর সংসার করিয়া আসিতে থাকাবস্থায় প্রবাসীর স্ত্রী আসমা আক্তার (২৫)অন্তঃসত্বা হইয়া পরে। তখন জানিতে পারি ১নং বিবাদী সৌদি প্রবাসী মোছা বর্ণা, ঠিকানা-জামালপুরের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত। বিষয়টি নিয়া আসমা আক্তার ১নং বিবাদীর প্রবাসী ইব্রাহীম (৩৪) সাথে প্রতিবাদ করায় ০৫ (পাঁচ) মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অমানসিক নির্যাতন করিয়া দেশে পাঠিয়ে দেয়। দেশে আসিয়া আসমা তার শ্বশুর বাড়ীতে অবস্থান করে। এদিকে বিবাদীদ্বয় বিভিন্ন অযুহাতে ও সাংসারিক ছোটখাটো বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া, আসমার সাথে ঝগড়া-বিবাদ করিয়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে আসমার গর্ভে ১নং বিবাদীর ঔরষের কারণে সন্তান সন্তানটি মারা যায়। পরবর্তীতে বিবাদীদ্বয় প্রবাসীর স্ত্রী উপর আরো নির্যাতন শুরু করে। এদিকে উপরোক্ত ২নং ও ৩নং বিবাদীর প্ররোচনায় ১নং বিবাদী উক্ত সৌদি প্রবাসীকে গোপনে বিয়ে করিয়াছে বলিয়া আসমা আক্তার শোনতে পায়। এমতাবস্থায় বিগত-১২/০৩/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর-২.৩০ ঘটিকার সময় আসমার তার স্বামীর বাড়ীতে অবস্থানকালে উপরোক্ত বিবাদীদ্বয় আসমার নামে বদনাম ও কু-রুচিপূর্ণ কথা বলিয়া এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। ঐবস্থায় তাদেরকে বদনাম করিতে মানা করিলে, বিবাদীদ্বয় আসমাকে এলোপাথারী মারপিট করিয়া এবং অপয়া ও দুশ্চরিত্রা বলিয়া পূর্বে তাহাদের দেওয়া স্বর্ণলিঙ্গকার জোর পূর্বক খুলিয়া রাখিয়া দেয় এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তখন বিবাদীদ্বয় হুমকি দিয়া বলে যে, উক্ত বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে, আসমা সহ তার পরিবারের লোকজনদের খুন জখম সহ বড় ধরণের ক্ষতি করিবে। বিবাদীরা আরো হুমকি দিয়া বলে যে, ভবিষ্যতে আসমা আক্তার যদি, তাদের বাড়ীতে পা রাখে তাহলে ঐদিনই খুন করিয়া ফেলিবে। উক্ত ঘটনা পাড়া প্রতিবেশীরা প্রত্যক্ষ করে। কিন্তু বিবাদীদ্বয়ের হুমকির মুখে কেও কিছু বলার সাহস পায় নাই। আসমা আক্তার এর পরেও তার প্রবাসী স্বামীকে তার সাথে ঘর সংসার করার জন্য অনেক অনুনয় বিনয় ও আকুতি, মিনতি করে এর পরও বিবাদীরা আসমাকে জোর করিয়া পাগল বলিয়া তাদের বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। পরে প্রবাসীর স্ত্রী আসমা নিরুপায় হইয়া তার পিতার বাড়ীতে চলিয়া আসে। সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ আইনের স্মরণাপণ্য হয় এবং যথাবিহিত তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার দাবি করেন।