যশোরের মণিরামপুরে বাংলাদেশ স্কাউটসঃ এর সাইনবোর্ড আছে কিন্তুু অফিস নাই
আবু রায়হান, স্টাফ রিপোর্টারঃ গত ২৩শে জুন সোমবার দেশব্যাপী বাংলাদেশ স্কাউটসের আয়োজনে কার্নিভাল ২০২৫ইং উপলক্ষে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায় অনুষ্ঠানে ও বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাপক আলোরন সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রগ্রাম বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ও মণিরামপুর উপজেলা স্কাউটসের আয়োজনে উপজেলা হলরুমে ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পুরষ্কার বিতরণী আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন,মণিরামপুর উপজেলা স্কাউটসের সভাপতি নিশাত তামান্না।
স্থানীয় দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ মোতাবেক,অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন, উপজেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হামিদুল ইসলাম,উপজেলা স্কাউটসের কমিশনার জিএম মাকসুদুর রহমান, উপজেলা সহসাকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আফজালুর রহমান,মণিরামপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ বাবলুর রহমান খান সহ উপজেলা স্কাউটসের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছিলো পুরষ্কার। অথিতি নির্ধারণের বিষয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হলে আলোচনায় আসে উপজেলা স্কাউটসের ২৩শে জুন কার্নিভাল ২০২৫ এবারের আয়োজন।
এ উপলক্ষে আগত সকলের দুপুরের খাবার এবং সার্বিক তত্বাবধানের জন্য ব্যায়করা অর্থের যোগান ও উপজেলা স্কাউটসের কার্যক্রমের খবরা খবর নিতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাশের ভবনের মহিলা শাখার পাশেই সাইনবোর্ড থাকলেও খুজে পাওয়া গেলোনা বাংলাদেশ স্কাউটসের মণিরামপুর উপজেলা কার্যালয়।
জাতীয় একটি শিক্ষা সহায়ক সংগঠনের মণিরামপুর উপজেলা শাখার এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার কারন খুজতে মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের অনুসন্ধানী টিমের কাছে, উপজেলা স্কাউটসের হাইকমান্ডিং সকলেই একে অপরের উপর দোষ চাপাতে ব্যস্ত হয়ে দিতে পারলেন না কোন তথ্য।
উপজেলা স্কাউটসের কমিশনার প্রভাতী বিদ্যাপীটের (প্রাথমিক) প্রধান শিক্ষক জিএম মাকসুদুর রহমান দোষারোপ করলেন সাধারণ সম্পাদক সবই জানে।মুঠোফোনে মণিরামপুর উপজেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হামিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাস্ত আছে বলে জানান। পরবর্তীতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি হামিদুল ইসলাম। তথ্যসংগ্রহে বেগতিক হয়ে জাতীয় তথ্য বাতায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফোন নাম্বারে যশোর জেলা স্কাটসে যোগাযোগ হলে জানাযায়,ঐ ব্যাক্তি দীর্ঘদিন যাবত স্কাউটসের কার্যক্রমে নিয়মিত নাই।তবে মণিরামপুরে ৩ বছর আগে একটি অফিস হয়েছিলো বলে জানান সাবেক এ জেলা সম্পাদক।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্কাউটসের চলতি দায়িত্বে থাকা নির্বাহী পরিচালক মোঃ শামসুল হক’র মুঠোফোনে এ সমস্ত অভিযোগ জানালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে পরামর্শ দেন।তিনি এ সময় জানা,আমরা কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায়ে ঐ ভাবে খবর নিতে পারিনা।তবে এ বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখবো।
বাংলাদেশ স্কাউটসের মণিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি নিশাত তামান্না’র সাথে কথা বললে তিনি কোন প্রকার মন্তব্য তিনি করেন নি।
তথ্য আছে, উপজেলা স্কাউটসের আওতায় থাকা মণিরামপুর উপজেলার প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন প্রগ্রাম বাবদ তোলা চাঁদা।
সাইনবোর্ড আছে কার্যালয় নাই এমন প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রমে মণিরামপুর শিক্ষাঙ্গন থেকে প্রতিটি মহলের ব্যাক্তি করে চলেছেন সমালোচনা ও আক্ষেপ। জাতীয় একটি সংগঠনের উপজেলা শাখার এহেন কর্মকান্ডের বিপরীতে মণিরামপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু মুত্তালেব আলম নিজেও হতাশা প্রকাশ করে জানান,আমার জানামতে মহিলা শাখার পাশে একটি কক্ষে কার্যক্রম পরিচালিত হয়।তবে অফিস না থাকলেও অবশই এমন সংগঠনের কার্যালয় থাকা অতিব জরুরী।