বগুড়ায় দিদার আয়ুর্বেদিক ফ্যাক্টরিতে অভিযান ও জরিমানা
মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়ায় দিদার ল্যাবরেটরিজ আয়ুর্বেদিক ফ্যাক্টরিতে বগুড়া জেলা পুলিশের একটি যৌথ টিম অভিযান চালায় ।
গত ২৮ জুন২০২৫ খ্রিঃ সকাল ১১:০০ ঘটিকায় বগুড়া সদর থানাধীন ১৫ নং ওয়ার্ডের ঝোপগাড়ি এলাকায় অবস্থিত “দিদার ল্যাবরেটরিজ আয়ুর্বেদিক ঔষধ ফ্যাক্টরি”-তে এ অভিযান চালানো হয় ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় ফ্যাক্টরিটি মালিক মোঃ দিদার হোসেন, যিনি বর্তমানে বগুড়া উপশহরে স্থায়ী এবং পূর্বে ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ঝোপগাড়ি বড়কুমিড়া রোড এলাকায় একটি তিনতলা ভবন ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারজাত করে আসছেন। ফ্যাক্টরিতে সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত স্থান ছিল না এবং কিছু ওষুধ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হচ্ছিল। এছাড়া বিষয়ে সন্দেহ ছড়িয়ে যে, প্রয়োজনীয় ড্রাগ লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সঠিক নাও হতে পারে।
পরবর্তীতে বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল আল মামুন ঘটনাস্থলে এসে ফ্যাক্টরির সকল কাগজপত্র ও সংরক্ষণের পরিবেশ পরিদর্শন করেন। কাগজপত্র সঠিক থাকায় কর্তৃপক্ষ কোনো আইনগত অভিযোগ না করলেও, কারখানার অসংগঠিত ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থার কারণে ৩,০০,০০০ টাকা জরিমানা করেন এবং ভবিষ্যতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখার কঠোর নির্দেশ দেন।
মোবাইল কোর্ট ও র্যাব-১২-এর সহায়তায় চলমান অভিযানে, এর আগেও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে—যেমন যৌন উত্তেজক সিরাপ, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও বলবর্ধক পানীয় উৎপাদনের দায়ে অপর একটি অভিযানে নির্দিষ্ট অভিযোগে জরিমানা ৩,০০,০০০ টাকার মতো আরোপ করা হয় । এ অভিযানের সহযোগিতা করে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা । নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল আল মামুন বলেন, জনস্বার্থে লাইসেন্সবিহীন ও নিম্নমানের ঔষধ উৎপাদনকারীর বিরুদ্ধে চলমান অভিযান চলবে। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে কোন ছাড় দেওয়া হবে না ।
অভিযানটি রাত ১০:০০ ঘটিকায় শেষ হয়।
বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এবং গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনা স্থানে উপস্থিত ছিলেন, রায়হান কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বগুড়া, মোস্তফা মঞ্জুর, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, বগুড়া: আরো উপস্থিত ছিলেন ডিবি ওসি, গোয়েন্দা শাখা, ইনচার্জ—উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি ও অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স। অভিযানের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়ন ছিল । অভিযানটি রাত ১০ ঘটিকায় শেষ হয় ।