বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ফাঁকির ২ কোটি টাকার চো*রাই পণ্য জব্দ
শার্শা উপজেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ মানিক হোসেন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
বেনাপোল স্থলবন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ২ কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল স্থবন্দরের তিন নম্বর গেটের ২৬ নং শেড থেকে পণ্য চালানটি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এন.এস.আই এবং বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জব্দ করে। এ সময় ঘোষণা বহির্ভূত ৬ বস্তা বিভিন্ন ধরনের আমদানি পণ্যও আটক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জব্দকৃত পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ বিভিন্ন প্রকার ৬০ কেজি ওষুধ, দুই বস্তায় ৯৬ হাজার পিস জিলেট ব্লেড, ৬০ পিস শাড়ি, ২ হাজার ২০০ পিস মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ও এক কেজি ওজনের সাদা রংয়ের গুড়া পাউডার। তবে পাউডারের প্রকৃতি সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি কাস্টমস কতৃপক্ষ।
পরীক্ষাগারে টেস্ট করানোর পর জানা যাবে এটা কিসের পাউডার। পণ্য চালানটি আটককালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মির্জা রাফেজা ও বেনাপোল স্থবন্দরের সহকারী পরিচালক আজহারুল ইসলাম। এ সময় এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, এই পণ্যগুলোর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন্স এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ‘সার্ভিস লাইন’ বেনাপোল, যশোর। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক বাবলুর রহমান ও বন্দরের শেড ইনচার্জ তরিকুলের যোগসাজশে পূর্ব চুক্তি মোতাবেক শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করেছিলো।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জয়েন্ট কমিশনার মির্জা রাফেজা জানান, ভারত হতে আনা আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য চালানটি জব্দ করা হয়েছে। অফিস খুললে কমিশনারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকারক বাবলুর রহমান এবং ২৬ নম্বর শেডের ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য বৈধ আমদানিকৃত মালামালের সাথে গোপনে এনে ২৬ নং শেডে রাখেন। পরে এসব পণ্য শেডের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়। বৈধ মালের কাস্টমস শুল্ক আদায় করে ছাড়পত্র দিলে ট্রাকে করে বৈধ মালের সাথে গোপনে অবৈধ মাল ট্রাকে লোড করে গন্তব্যে পাঠানো হতো।