বগুড়া নন্দীগ্রামে ৬০ বছরের বৃদ্ধা ধ*র্ষণ গ্রে*ফতার ১
মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়া জেলা নন্দীগ্রাম থানা কল্যাণ নগর গ্রামের ভাটগ্রাম ইউনিয়নের মৃত যতীন্দ্রনাথ প্রাং এই স্ত্রী শ্রীমতি মালতি রানী বাংনী(৬০) বৃদ্ধা কে ধর্ষণ করা হয়েছে।
গত ১৮ই জুন ২০২৫ খ্রি: রাত ৮ ঘটিকায় তার নিজ বাড়ি এ ঘটনা ঘটে ।
আসামিদ্বয় হলেন, বগুড়া জেলা নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কল্যাণ নগর গ্রামের শ্রী ভূষণ চন্দ্র মালি এর পুত্র (১)শ্রী জীবন চন্দ্র মালী (৩০) ও একই গ্রামের শ্রী মুন চন্দ্র মালী এর পুত্র (২) শ্রী মনি চন্দ্র মালী (৩০) । ঘটনা সূত্রে জানা যায় নন্দীগ্রাম থানাধীন কল্যাণ নগর গ্রামস্থ জনৈক মোঃ ফটিক মোল্লা এর জমিতে মাটির দেওয়াল টিনের চালা বিশিষ্ট ছাপরা বাড়ির শয়ন ঘরের
শ্রীমতি মালতি রানী বাংনী (৬০)এর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে একাই বাড়িতে থাকত। জনৈক মোঃ ফটিক মোল্লা এর জমিতে মাটির দেওয়াল টিনের চালা বিশিষ্ট ছাপরা শয়ন ঘরের ভিতর প্রবেশ করে শ্রীমতি মালতী রানী কে জোরপূর্বক চৌকি থেকে মাটিতে নামিয়ে ১নং আসামি শ্রী জীবন চন্দ্র মালী মালতি রানীর পরিহিত শাড়ি খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ১ নং আসামি ধর্ষণ করার পর ২নং আসামি শ্রী মনি চন্দ্র মালী যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে মালতি রানী কে জোরপূর্বক জামা কাপড় খুলিয়া ধর্ষণের চেষ্টা করে। মালতি রানী উচ্চস্বরে কান্নাকাটি শুরু করলে আসামীদ্বয় মালতি রানী কে ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। ধর্ষণ এর বিষয়টা আস্তে আস্তে প্রকাশ হতে থাকে জানতে পারে গ্রামে ও আশপাশে এলাকার লোকজন পরবর্তীতে মালতি রানী তার আত্মীয়-স্বজনকে বিষয়টা অবহিত করলে নন্দীগ্রাম থানায় এসে আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন । নন্দীগ্রাম থানার মামলা নং- ১২, তারিখ- ২৭-০৬-২০২৫ খ্রিঃ ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। ধর্ষণ এর পর থেকে আসামিদ্বয় পালাতক ছেলেন । গোপনসংবাদ এর ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই মোঃ সাইফুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স সহ(১) আসামী শ্রী জীবন চন্দ্র মালীকে গ্রেফতার করেন ।( ২) আসামি শ্রী মনি চন্দ্র মালী কে গ্রেফতারের প্রক্রিয়াধীন আছে । শ্রীমতি মালতী রানী এর ধর্ষণ ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী তাদের দাবি আসামিদ্বয়দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ।