এম,এ,মান্নান,প্রভাতী বাংলাদেশ
বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দিন কোনো না কোনো বিশেষ দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই সব দিবস মানুষকে আনন্দ, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করে। ঠিক তেমনই একটি মজার, সুস্বাদু এবং শিশু-কিশোরদের প্রিয় দিন হলো “জাতীয় আইসক্রিম কেক দিবস”। এটি প্রতিবছর ২০ জুন তারিখে পালিত হয়। এই দিনটি মিষ্টি প্রেমীদের জন্য বিশেষ আনন্দের।আইসক্রিম কেক মূলত একটি ডেজার্ট যেটি তৈরি হয় আইসক্রিম ও কেকের সংমিশ্রণে। এর নিচে সাধারণত থাকে স্পঞ্জ কেক বা বিস্কুটের স্তর, তার উপর বিভিন্ন স্বাদের আইসক্রিম এবং কখনও চকলেট, ফল বা ক্রিম দিয়ে সাজানো হয়। গরমের দিনে আইসক্রিম কেক খেলে যেমন স্বস্তি মেলে, তেমনি এটি জন্মদিন, পার্টি বা বিশেষ অনুষ্ঠানেও খুব জনপ্রিয়।যদিও এই দিবসের সুনির্দিষ্ট ইতিহাস খুব স্পষ্ট নয়, তবে আমেরিকায় ১৯শ শতকের শেষ দিক থেকেই আইসক্রিম কেকের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ফাস্ট ফুড কোম্পানি ও কনফেকশনারি ব্র্যান্ডগুলো যখন এই ডেজার্টকে সাধারণ মানুষের নাগালে আনতে শুরু করে, তখন থেকেই একে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ দিন পালনের প্রথা শুরু হয়।এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো আইসক্রিম কেক খেয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করা, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং সৃজনশীল কেক ডিজাইনের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করা। অনেক বেকারি ও রেস্তোরাঁ এই দিনে বিশেষ অফার দেয়। স্কুল, কলেজ এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই দিনটি ঘিরে চলে নানা আয়োজন।জাতীয় আইসক্রিম কেক দিবস উদযাপন করার সবচেয়ে মজার উপায় হলো নিজে একটি আইসক্রিম কেক বানানো কিংবা প্রিয় কোনো দোকান থেকে কেক কিনে প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে খাওয়া। কেউ কেউ আবার আইসক্রিম কেক তৈরির ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন।জাতীয় আইসক্রিম কেক দিবস শুধুমাত্র একটি মজাদার খাবার কেন্দ্রিক দিবস নয়, বরং এটি পারিবারিক বন্ধন, বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-আনন্দ ভাগাভাগির একটি উপলক্ষ। ছোটদের যেমন এই দিনে সীমাহীন খুশি, তেমনি বড়দের কাছেও এটি একটি চমৎকার ফুরফুরে অনুভূতির দিন। তাই এই দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে আমরা সবাই মিলে মিষ্টি স্মৃতি গড়ি, একটি সুস্বাদু আইসক্রিম কেক কেটে!