সাকিল আল ফারুকী
ঢাকা, ২৫ জুন:
বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ‘বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’।
২৫’ই জুন বুধবার সকালে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম-এর নতুন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, “তদন্তে দেখা গেছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কারও নাম প্রকাশ করা হবে না।”
মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান আরও বলেন, “তৎকালীন তদন্ত কমিটি তাদের কাজে চরম অবহেলা করেছে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের চেষ্টা না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে।”
তিনি গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, “তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন গণমাধ্যম বিদ্রোহ-পরবর্তী পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ভূমিকা রেখেছিল।”
তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, স্বাধীনভাবে পরিচালিত এই তদন্তে প্রায় দুই শতাধিক সাক্ষ্যগ্রহণ, নথি পর্যালোচনা ও প্রমাণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই প্রাথমিক ফলাফল উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআরের সদর দপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন। সেই হৃদয়বিদারক ঘটনায় সারাদেশে তীব্র শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
তদন্ত কমিশন বলছে, তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।