পুলিশের উপর হা*মলা চালিয়ে আসামি ছি*নতাই, অবশেষে গ্রে*ফতার।
আজিজুর রহমান খুলনা জেলা প্রতিনিধি
গত ইংরাজি ১৮ /০৬/ ২০২৫ রোজ বুধবার। বিকাল 5 ঘটিকার সময় দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ফরমাইস খানা গ্রামের গোলারঘাট নামক স্থান থেকে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মোহাম্মদ নাসিমুল গনি ওরফে নাসিমকে গ্রেফতার অভিযানে নামে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় আসামি নাসিম খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানা সহ খুলনা জেলার বিভিন্ন থানার ও খুলনার বাহিরে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার হত্যা মামলা সহ প্রায় এক ডজন মামলার আসামি। আসামি নাসিম প্রতিদিনের ন্যায় গোলারঘাট হারুন মোল্লার ফার্নিচারের দোকানে তার লোকজন সহ আড্ডায় ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে আসলে গ্রেপ্তারে বাধা প্রদান করে নাসিমের সাথে থাকা তার বাহিনী। এ সময় পুলিশের সাথে ব্যাপক ধস্তা ধস্তি সৃষ্টি হয় এতে করে তিন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয় ।এবং নাসিমকে নিরাপদে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এ সময় ঘটনা স্থল থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয় এরা হলেন মোহাম্মদ রেজাউল ও মোহাম্মদ আল মামুন। এরপর নাসিম সহ তার বাহিনীকে ধরতে যৌথ বাহিনীর সহ দিঘলিয়া থানা পুলিশ ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেন। প্রায় তিন চার দিন অতিবাহিত হলেও আর কোন আসামি ধরতে পারেনি। কিন্তু দফায় দফায় অভিযান অব্যাহত থাকে। পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী র্যাব এর গোয়েন্দা বাহিনী যৌথ বাহিনী দিঘলিয়া থানা পুলিশ আসামিদের ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেন। তার ই ধারাবাহিকতায় ২২ শে জুন গভীর রাতে খুলনা খালিশপুর থানার মুজগুন্নিএলাকার একটি চার তলা ভবন এর নিচতলা থেকে নাসিমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই গ্রেফতার অভিযানে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা র্যাব এর গোয়েন্দা সংস্থা দিঘলিয়ার থানা অফিসার ইনচার্জ এইচএম শাহীনের নেতৃত্বে দিঘলিয়া থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় আসামি নাসিম হত্যা চুরি ছিনতাই ডাকাতি অস্ত্র ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। ২০০২ সালে খুলনার আলোচিত গণেশ হত্যা মামলার আসামি তিনি। ওই মামলায় জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর একের পর এক হত্যা মামলা অস্ত্র মামলা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি মামলা সহ তার বিরুদ্ধে খুলনা জেলা সহ অন্যান্য জেলায় বিভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু তিনি বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের আমলে খুলনার সেখপরিবারের শেখ বাড়ির সাথে এবং খুলনা 4 আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শিদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা থাকায় তিনি পার পেয়ে যান তার এই মামলা থেকে। এই মামলার ভিতরে একটি হত্যা মামলায় ৩২ বছর অস্ত্র মামলায় সাঁতার বৎসর দণ্ডপ্রাপ্ত করলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তিনি তার সকল মামলা থেকে অব্যাহতি পান। এরপরেই দীর্ঘ প্রায় ২০ ২২ বছর পর প্রকাশ্যে আসেন। সেই নিজ বাড়ি দিঘলিয়া উপজেলার ফরমাইস খানা গ্রামে বসবাস শুরু করেন। স্থানীয় এমপি ও শেখ পরিবারের সাথে সখ্যতা থাকায় তিন তার খেয়ালখুশি মতোই সবকিছু পরিচালনা করে আসছিলেন। ৫ ই আগস্ট সারাদেশের স্বৈরাচারদের দোসর পালিয়ে গেলে ও দীঘলিয়ার চিত্র ছিল অন্যরকম। তার গ্রেফতার এ এলাকাবাসী সহ দিঘলিয়া উপজেলা বাসি এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেছে।