1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
করোনা প্রতিরোধের পথ: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র‍্যাব-৭, এর অভিযানে ২০ জন গ্ৰেপ্তার শেরপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন: র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ বাঁশখালীর পুইছড়িতে আগুনে পুড়ে ছাই ৪বসতঘর বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন বিএনপি নেতা পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে: তদন্ত কমিশন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র‍্যাব-৭, এর অভি*যানে ২০ জন গ্ৰে*প্তার নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুইজনের মৃ*ত্যু গফরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। হাতিয়ায় টমটম-অটোরিকশা সং*ঘর্ষে নি*হত ১,

নন এমপিও শিক্ষকগণ অন্য দেশের নাগরিক?ন্যায্য দাবি মানতে যদি কষ্ট হয় তাহলে স্বীকৃতি দেলেন কেন?

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

নন এমপিও শিক্ষকগণ অন্য দেশের নাগরিক?ন্যায্য দাবি মানতে যদি কষ্ট হয় তাহলে স্বীকৃতি দেলেন কেন?

এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (নওগাঁ) প্রতিনিধি,দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ

একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার শিক্ষাব্যবস্থার ওপর, আর সেই ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হল শিক্ষক সমাজ।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে বহু শিক্ষক রয়েছেন যারা বছরের পর বছর রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ও সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা হচ্ছেন নন-এমপিও (মাসিক বেতন ভাতা প্রাপ্ত নয়) শিক্ষকগণ।এই শিক্ষকগণ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন—তাদেরও যেন এমপিওভুক্ত করে রাষ্ট্রের মূল স্রোতে আনা হয়। কিন্তু রাষ্ট্র যখন শুধু তাদের দাবি অস্বীকার করেই ক্ষান্ত থাকে না, বরং রাস্তায় পুলিশ নামিয়ে লাঠিপেটা করে তাদের দমন করে, তখন প্রশ্ন ওঠে—এই দেশ আসলে কার?নন-এমপিও শিক্ষক মানেই এমন একজন মানুষ, যিনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত পাঠদান করেও সরকারি কোনো বেতন পান না। অনেকেই মাসে মাত্র ২-৩ হাজার টাকা পান বা একেবারেই পান না।অথচ একই প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নিয়মিত সরকারি বেতন পান।এই বৈষম্য শুধু অন্যায় নয়, এটা একজন শিক্ষকের আত্মমর্যাদা ও জীবনের প্রতি রাষ্ট্রের চরম অবহেলার বহিঃপ্রকাশ।নন-এমপিও শিক্ষকগণ বছরের পর বছর ধরে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের দাবি তুলে ধরেছেন।কখনো প্রেস ক্লাবের সামনে, কখনো জাতীয় প্রেস কনফারেন্সে, কখনো শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সামনে রোদে-বর্ষায় অবস্থান নিয়েছেন।কেউ কেউ অনশন করেছেন, কেউ কেউ অসুস্থ হয়েছেন—তবুও ন্যায্য অধিকার পাওয়ার আশা ছাড়েননি।তাদের প্রশ্ন একটাই—আমরা কি এই দেশের নাগরিক নই? আমাদের পরিবারের মুখে আহার তুলে দেওয়ার অধিকার কি আমাদের নেই?যখন শিক্ষকেরা এই দাবিতে রাস্তায় বসেন, তখন রাষ্ট্রের জবাব হয় পুলিশ। শিক্ষিকাদের গায়ে হাত উঠে, বয়স্ক শিক্ষকদের মাথা ফেটে যায়, রক্ত পড়ে পথঘাটে—এ দৃশ্য কি কোনো সভ্য সমাজে মানায়? রাষ্ট্র যখন নিজের সন্তানদের এমনভাবে মারধর করে, তখন সেই রাষ্ট্রের নৈতিকতা কোথায়?আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে যেখানে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকার কথা, সেখানে তাদের লাঠির ঘায়ে যদি একজন শিক্ষক আহত হন, তাহলে সে লাঠি কি রাষ্ট্রের অস্ত্র, না অন্যায়ের প্রতীক?এই প্রশ্ন আমাদের প্রতিটি নাগরিকের বিবেককে নাড়া দেয়—যদি আপনি একজন নন-এমপিও শিক্ষক হতেন, মাসের পর মাস বিনা বেতনে কাজ করতেন, সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে না পারতেন, বাজারে গিয়ে লজ্জায় ফিরতেন—তাহলে কি আপনিও রাস্তায় নামতেন না?যদি আপনার উপর এমনভাবে লাঠি চলত, তাহলে কি আপনি চুপ থাকতে পারতেন?এই প্রশ্নটি শুধু সরকারের কাছে নয়, আমাদের সবার কাছে—সাধারণ মানুষ, মিডিয়া, প্রশাসন, সুশীল সমাজ—কারোই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। আমরা কি আমাদের শিক্ষকদের এমন অবমাননার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো না?একটি জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে তার শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করে দাও—এই কথা শুধু কথামালা নয়, বাস্তবতা।আর যদি একজন শিক্ষক ক্ষুধায় কাঁদেন,চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর মুখে পড়েন, আর রাষ্ট্র চোখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে সেই রাষ্ট্র কেমনভাবে একটি আলোকিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারে।নন-এমপিও শিক্ষকগণের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দাবিদাওয়া নয়, এটি একটি মানবিক অধিকার। এটি একটি রাষ্ট্রের আত্মমর্যাদার পরীক্ষা।যারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলছেন, তাদের প্রতি অবহেলা মানে জাতির ভবিষ্যতের প্রতি অবহেলা।শিক্ষককে গালি দেওয়া, মারধর করা মানে নিজের বিবেককে লাঞ্ছিত করা।আর তাই, এখন সময়—দাবি মেনে নেওয়ার, গায়ের জোরের নয়; সহানুভূতির, বলপ্রয়োগের নয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট