1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৪:৪২ অপরাহ্ন

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

 

এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (নওগাঁ) প্রতিনিধি,দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ

সঙ্গীত মানব জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আনন্দে, বেদনায়, প্রেমে কিংবা প্রার্থনায়—সঙ্গীত সব অনুভূতির এক গভীর ভাষা। বিশ্বজুড়ে সঙ্গীতপ্রেমীদের সম্মান জানাতে প্রতি বছর ২১শে জুন পালিত হয় বিশ্ব সংগীত দিবস। এই দিনটি শুধু সুর ও তালের উৎসব নয়, এটি মানুষের মধ্যে সংহতি, সৌহার্দ্য ও মানবতাবোধ জাগ্রত করার এক মহৎ উপলক্ষ।বিশ্ব সংগীত দিবসের সূচনা ঘটে ১৯৮২ সালে ফ্রান্সে। ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং এবং সংগীত গবেষক মরিস ফ্লেয়রেট মিলে এই অনন্য দিবসটির প্রবর্তন করেন। প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে “Fête de la Musique” (সঙ্গীত উৎসব) উদযাপন করা হয়, যেখানে পেশাদার ও অপেশাদার শিল্পীরা রাস্তায় নেমে বিনামূল্যে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এ ধারণা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে, তা দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। আজ বিশ্বের প্রায় ১২০টিরও বেশি দেশে এই দিবসটি নানান আকারে পালিত হয়।বিশ্ব সংগীত দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো সঙ্গীতকে গণমানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রত্যেক মানুষকে সঙ্গীতের সাথে যুক্ত করা। এই দিনটিতে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয় যেখানে সঙ্গীত হয়ে ওঠে বিনা মূল্যের, উন্মুক্ত এক উপহার। এটি এমন একটি দিন, যেদিন মানুষ ধর্ম, ভাষা বা জাতিগত বিভেদ ভুলে কেবল সুরের জগতে ডুবে যায়।সঙ্গীতের ক্ষমতা অসীম। এটি মানুষের মনকে শান্ত করে, মানসিক চাপ দূর করে এবং আবেগকে স্পর্শ করে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সঙ্গীত মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে এবং মানসিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এই দিবসটি কেবল বিনোদনের জন্য নয়, বরং এক সামাজিক ও মানসিক চেতনার বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ।বিশ্ব সংগীত দিবসে বিভিন্ন দেশে উন্মুক্ত কনসার্ট, স্ট্রিট পারফরম্যান্স, স্কুল-কলেজে প্রতিযোগিতা, ওয়ার্কশপ এবং নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিছু কিছু দেশে পুরো দিন এবং রাতব্যাপী চলতে থাকে সংগীত উৎসব। স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি নতুন প্রতিভারাও এই দিন মঞ্চ পায় নিজেদের তুলে ধরার।
বাংলাদেশেও এখন বিশ্ব সংগীত দিবস পালন করা হয় সাড়ম্বরে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে আয়োজিত হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। নতুন ও পুরোনো শিল্পীরা একত্রিত হয়ে গান পরিবেশন করেন। অনেকে নিজেদের বাড়িতেও এই দিনটিকে ঘিরে ছোটখাটো সঙ্গীত আসরের আয়োজন করেন।বিশ্ব সংগীত দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—সঙ্গীত কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি এক শক্তিশালী সামাজিক ও মানবিক যোগাযোগের ভাষা। এক একটি সুর, এক একটি গান হতে পারে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। এই দিনটি আমাদের অনুপ্রাণিত করে আরও বেশি করে সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত হতে, এবং এই মহৎ শিল্পকে সম্মান জানাতে।

“সঙ্গীত ভালোবাসুন, মানবতা জাগ্রত করুন—এই হোক বিশ্ব সংগীত দিবসের মূল বার্তা”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট