তিনি মরেও বেঁচে আছেন সকল মানুষের হৃদয় পটে
এম,এ,মান্নান, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি,দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
শিক্ষকতা শুধু একটি পেশা নয়, এটি একটি মহান ব্রত। একজন প্রকৃত শিক্ষক সমাজ গঠনের কারিগর। মরহুম ইসাহাক আলী ছিলেন তেমনি একজন গুণী ও আদর্শ শিক্ষক, যিনি তাঁর জ্ঞান, আদর্শ, নিষ্ঠা ও মমতায় শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে আজও অম্লান।
নিয়ামতপুর উপজেলার শিক্ষাঙ্গনে তাঁর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। তিনি ছিলেন ওই এলাকার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃত। শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান নয়, মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও শৃঙ্খলা শেখাতে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তাঁর পড়ানোর ধরণ ছিল সহজ, সরল এবং হৃদয়গ্রাহী। তিনি কঠোর হতেন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য, কিন্তু ভেতরে ছিলেন অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের মানুষ।
ইসাহাক আলীর হাতে গড়া বহু শিক্ষার্থী আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, প্রশাসক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পেশায় প্রতিষ্ঠিত। তাঁর শিক্ষাদান শুধু পরীক্ষার ফলাফলেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি শিক্ষার্থীদের জীবনে আলোকবর্তিকা হয়ে উঠতেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব, আদর্শ ও আচরণ শিক্ষার্থীদের জীবনের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকত।
তাঁর প্রতি শিক্ষার্থীদের, সহকর্মীদের ও এলাকার মানুষের ভালবাসা ছিল অপার। তাঁর মৃত্যুতে নিয়ামতপুর উপজেলা হারিয়েছে এক মহৎ ব্যক্তিত্ব, এক শিক্ষাগুরু, যিনি আজও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন।
মরহুম ইসাহাক আলী স্যার আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে একজন মানুষ হয়ে উঠতে হয়। তিনি প্রমাণ করেছেন—একজন আদর্শ শিক্ষক কেবল শিক্ষাই দেন না, বরং সমাজে এক বিশাল পরিবর্তনের সূচনা করেন।
আজ তিনি আমাদের মাঝে শারীরিকভাবে না থাকলেও, তাঁর শিক্ষা, আদর্শ ও অবদান আমাদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমন গুণীজনের শূন্যতা কখনোই পূরণ হবার নয়।
মরহুম ইসাহাক আলী স্যারের মতো শিক্ষকরা জাতির বাতিঘর। তাঁর মতো আদর্শ শিক্ষক সমাজে বিরল। তাঁর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের জন্য এক অনুসরণীয় পথ। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আশা করি, তাঁর দেখানো পথে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এগিয়ে যাব।