নারী নির্যাতন মামলায় জড়ালেন প্রবাস ফেরত "আবুল হোসেন"।
মোঃ মাহাবুল আলম। উপজেলা প্রতিনিধী, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।
ভবানীপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা খয়রুল্লার ছেলে আবুল হোসেন।মাত্র এক মাস যাবত সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। ৮ বছর আগে আবুল হোসেন শিবরামপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের কন্যা ফাতেমা খাতুন (২৫)কে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই উভয়ের মাঝে দাম্পত্য কলহ বিরাজ করতো। গত ১৮/০৬/২০২৫ ইং তারিখে সামান্য ধান ভাঙানো কে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মাঝে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এ সময় স্বামী বিল্লাল হোসেন, ভাসুর আবুল হোসেন, পাশের বাড়ির হারুনের মা ফাতেমা খাতুন কে বেদম ভাবে প্রহার করে। এমন সময় ভিডিও কল দিয়ে মারামারির দৃশ্য আমেনা খাতুনের বোনকেও মাকে দেখানো হয়। আমিনা খাতুন এর তথ্য মতে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার স্বামী। এ সময় ভাসুর এবং শ্বশুর, শাশুড়ি স্বামীকে বলে এমন ভাবে আঘাত করতে যাতে করে অন্য কোথাও বিয়ে বসতে না পারে । পরে গুরুতর আহত আমিনা বেগমকে তার পিতা মাতা ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্ব রত চিকিৎসক আমেনা বেগমের শারীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান । পরে ভুক্তভোগির পিতা আব্দুল মজিদ, ফাতেমা বেগমের আঘাতের ছবি সহ ফুলবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেন।এখানে আমিনা বেগমের স্বামী, ভাসুর, শশুর, শাশুড়ি এবং অপর এক মহিলাকে আসামি হিসেবে উল্ল্যেখ করা হয়। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান ফুলবাড়িয়া থানার এস আই জহিরুল ইসলাম। গতকাল আবুল হোসেনের বাড়িতে এসে জহিরুল ইসলাম সরজমিনে তদন্ত করে অভিযোগটির সত্য বলে প্রমান পান।আমেনা বেগম ও তার পিতা-মাতার দাবি তারা যেন তাদের মেয়ের সুবিচার পান সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান।