বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রুবেল হোসাইন
পটুয়াখালী বাউফল ভারী বৃষ্টিতে দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকার জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উত্তরাঞ্চলের বরিশাল ও পটুয়াখালী ও বাউফল গতকাল রবিবার থেকে বরিশাল পটুয়াখালী দশমিনা গলাচিপা ভারী বৃষ্টি হয়েছে। শহরে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়া থেকে শুরু করে গ্রাম এলাকায় হাটবাজার ও বাড়িঘর তলিয়ে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। আর গত শনিবার রাত থেকে পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বাউফল নিকলীতে এর তিন গুণ বৃষ্টি ঝরেছে,
বরিশাল বিভাগের বেশির ভাগ জায়গা অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজেছে। একে তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন, তার ওপর শুক্রবার ভারী বৃষ্টির অভিজ্ঞতায় বরিশালবাসী খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হয়নি। সকাল থেকে আকাশ কালো করে মেঘ থাকায় শহরজুড়ে স্থবিরতা নেমে আসে। তবে মাঝারি বৃষ্টিতেই থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেশি ভাগি বন্ধ রোড হয়ে বরিশাল বিভাগ পটুয়াখালী অন্তত (৪) উপজেলা এলাকায় দিনভর সড়কে পানি জমে থেকেছে। বৃষ্টি আর নির্মাণকাজের দাপটে বিভিন্ন সড়কে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হয়। নাগরিকদের পড়তে হয় বাড়তি ভোগান্তিতে।
মধ্যরাতে প্রবল বৃষ্টির সময় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বাউফল দশমিনা গলাচিপা উপজেলা গুলোতেও একইভাবে রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। একদিকে প্রবল বৃষ্টি, অন্যদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। অনেকে সারা রাত ঘুমাতে পর্যন্ত পারেননি। প্রবল বৃষ্টি এসব জনপদে আতঙ্ক ও ভয় নিয়ে আসে।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর কিছুটা স্বস্তির সংবাদ দিয়ে বলছে, আরও দুই দিন বৃ্ষ্টি সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসতে পারে। তবে বরিশাল পটুয়াখালী বাউফল ও দশমিনা গলাচিপা বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি বেশি হবে। আগামীকাল রোববার থেকে বৃষ্টিপাত আরও কমে স্বাভাবিক আবহাওয়া ফিরতে পারে। আগামী সপ্তাহ থেকে বর্ষা কিছুটা কমা শুরু করবে। আগে কিছুটা বৃষ্টি ঝরালেও তা খুব বেশি তীব্র হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন ।