এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
বিশ্ব আজ নানা সংকটে জর্জরিত। যুদ্ধ, সংঘাত, রাজনৈতিক নির্যাতন, ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের জন্মভূমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই অসহায় মানুষগুলোকে বলা হয় শরণার্থী। তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ২০শে জুন পালিত হয় বিশ্ব শরনার্থী দিবস। ‘শরণার্থী’ বলতে বোঝায় এমন একজন ব্যক্তি, যিনি নির্যাতন, যুদ্ধ, গণহত্যা বা জীবন-সংকটজনক পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য নিজ দেশ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের সংস্থা UNHCR (United Nations High Commissioner for Refugees) এই শরণার্থীদের সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের দায়িত্বে রয়েছে।২০০১ সাল থেকে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালনের সূচনা হয়। ঐ বছর ছিল UNHCR-এর ৫০তম বর্ষপূর্তি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতি বছর ২০শে জুন এই দিনটি পালন করা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।বিশ্ব শরণার্থী দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শরণার্থীদের দুঃখ-কষ্ট সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবহিত করা এবং তাদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করা। শরণার্থীরা কেবলমাত্র আশ্রয় চায়, সুযোগ চায় একটি নিরাপদ জীবনের। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রতিটি মানুষ আশ্রয়, খাদ্য, শিক্ষা ও নিরাপত্তার অধিকার রাখে – সে যেই হোক না কেন।সিরিয়া, আফগানিস্তান, সুদান, মায়ানমারসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে যুদ্ধ ও নির্যাতনের কারণে শরণার্থীর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। অনেক শরণার্থী বছরের পর বছর আশ্রয় শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করে। তাদের অনেকেরই শিক্ষা, চিকিৎসা বা জীবিকার কোনো সুযোগ থাকে না। তাই এই পরিস্থিতির প্রতি মনোযোগ দেওয়া আজ জরুরি।বিশ্ব শরণার্থী দিবস কেবল একটি দিবস নয়, এটি মানবতার প্রতীক। আমাদের উচিত এইসব মানুষদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো। একটি নিরাপদ ও মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য শরণার্থীদের অধিকার ও মর্যাদার প্রতি সম্মান জানানো প্রত্যেক মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।