গজারিয়ায় ৫০০ গ্রাম গাঁ*জাসহ দুই নৌ চাঁ*দা*বাজকে আট*ক করে পুলিশে দিল জনতা।
মো রাসেল সরকার গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুই নৌ চাঁদাবাজকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীতে নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছিল বলে স্থানীয়রা জানায়।
আটকৃতরা হলো, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ভাটির বলাকী গ্রামের মৃত আব্দুল কাদির বেপারীর ছেলে ইয়ানুর বেপারী (৩৫) ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পাঁচআনী গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে সবুজ (৪০)। এসময় শাহ্ পরান ও ফরহাদ নামে আরো দুই চাঁদাবাজ কৌশলে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সঙ্গবদ্ধ এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের মাধ্যমে মেঘনা নদীতে চলাচলকারী নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছিল। দেশীয় অস্ত্রের মুখে নৌযান শ্রমিকদের জিম্মি করে টাকা আদায় করতো তারা। কেউ তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হতো। চক্রটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল এ পথে চলাচলকারী নৌযান শ্রমিকরা। এদিকে শুক্রবার (২০ জুন) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে নদীর হোসেন্দী ইউনিয়নের ডুবারচর এলাকায় টাকা-পয়সার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায় চক্রটির সদস্যরা। এসময় স্থানীয়রা এ চক্রের দুজনকে আটক করলে তাদের কাছে ৫০০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রটির আরো দুইজন সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে আটক দুইজনকে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন।
বিষয়টি সম্পর্কে জনতার হাতে আটক সবুজ বলেন,' আমি একজন ট্রলার চালক, আমি চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নই। তারা আমার ট্রলার ভাড়া করেছে সেজন্য আমি এখানে এসেছি। ট্রলার কোন কাজে ভাড়া করা হয়েছে সেটা তারা ভালো বলতে পারবে'।
এদিকে জনতার হাতে আটক ইয়ানুর নিজেকে জেলে দাবি করলেও বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক এনে তারা কেন নদীতে মহড়া দেয় এই প্রশ্ন করা হলে তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' আমরা ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ দুজনকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। তারা নৌপথে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে'।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশে নৌযানে চাঁদাবাজির ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সমাজের যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নৌ চাঁদাবাজদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও তৎপরতা বৃদ্ধির খবরে আতঙ্কিত এ পথে চলাচলকারী নৌযান চালক ও যাত্রীরা।