মো: মাহবুবুল আলম। উপজেলা প্রতিনিধি, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফুলবাড়িয়া বাসীর কাছে বিশেষ ভাবে উপভোগ্য হবে বলে মনে করছেন রাজনীতিবীদ গন। বলিষ্ঠ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের পতনের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে বি, এন, পির পালে সু বাতাস বইছে। সেই বাতাসে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলও শক্ত ভাবে হাল ধরেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। খেলা জমবে ফুলবাড়িয়ায় ধান এবং দাঁড়িপাল্লার মধ্যে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে একক ভাবে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন মোঃ কামরুল হাসান মিলন।
অপর দিকে ধানের শীষ ধরার জন্য মাঠে ময়দানে গন সংযোগ করে চলেছেন বি,এন,পির চার নেতা।
১: আখতারুল আলম ফারুক।
২: আব্দুল করিম সরকার।
৩: তানভীর আহম্মেদ রানা।
৪: মামুনুর রশীদ মামুন।
রাজনৈতিক ভাবে রানা পিছিয়ে থাকলেও জনপ্রিয়তার দিক থেকে রানা সকলের ঊর্ধ্বে । কারণ হিসাবে যা উল্ল্যেখ করা যায়, তা হলো রানার পিতা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শামস্উদ্দীন আহম্মেদ ও পিতা শাহাবুদ্দিন মৌলভী ফুলবাড়িয়া উপজেলার জনগণের জন্য যা করে গেছেন ফুলবাড়িয়া বাসী তা কোনদিন ও ভুলবে না। বি,এন,পির চার নেতার মধ্যে রাজনৈতিক ভাবে এগিয়ে আছেন” আখতারুল আলম ফারুক”। সদ্য নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে করিম সরকার ও মামুন উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিতে থাকলেও আখতারুল আলম ফারুক ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা শাখায় যুগ্মআহ্বায়কের আসনে বসে আছেন । সেই সুবাদে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলবাড়িয়ায় বি,এন,পির মনোনয়নের পাল্লা ফারুক সাহেবের দিকে বেশী ঝুকে আছে।
বি,এন,পির চার নেতার মধ্যে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে কেউ সতন্ত্র পার্থী হবে কিনা সেই দিকেও জনগণ তাকিয়ে আছে।
মামুন, করিম সরকার বিগত সরকারের আমলে দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য জেল যুলুমের শিকার হয়েছেন একাধিকবার। মনোনয়নের পার্থী হিসাবে তাদেরকে ও খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
তারুণ্যের মোট উৎসবে তরুণ সমাজ এবং আওয়ামী লীগের বিশেষ অংশ দাঁড়িপাল্লাকেই বেছে নিতে পারে। বর্তমানে নিবন্ধন হারানো আওয়ামীলীগ দলের ধারণা, বি এন পি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের উপর হামলা মামলার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এজন্য নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় জামাতকেই ভোট দিয়ে পাশে থাকতে পারে। ফুলবাড়িয়া উত্তরাংশে ভোটারের সংখ্যা অধিক হওয়ায়, যদি এই এলাকার লোক ঐক্য গড়ে তোলে নিজেদের এলাকায় এমপি রাখার প্রত্যয়ে কাজ করে তাহলে কামরুল হাসান মিলন বিজয়ের মালা পড়তে সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বিএনপির চার নেতা এখনো নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে মনোনয়নের জন্য একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে পারেনি ফলে হঠাৎ করে দল থেকে একজন মনোনয়ন পেলে বাকি তিনজন ও তাদের প্যানেলের নেতাকর্মীরা খানিকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার অনেক সময় বাকি আছে এরই মধ্যে বিএনপির দল থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত করলে বি এন পির সংগঠন যদি যৌথভাবে কাজ করে তবে বিজয়ের হাসি হাসবে তারাই। সর্বপরি ফুলবাড়িয়ার মানুষ চাচ্ছে এলাকার উন্নয়ন। তাই যার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে, তাকেই ভোটে জয়ী করবে ফুলবাড়ীয়ার মানুষ। তারা চায় ব্যক্তির স্বার্থ, দলের স্বার্থ না দেখে ফুলবাড়িয়ার উন্নয়নের স্বার্থকে এগিয়ে রাখার সহমত পোষন করে।