মোঃ জালাল হোসেন গোদাগাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি ,,,,
🏛️ গোদাগাড়ী থানার ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠা
গোদাগাড়ী থানা ১৮৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালে এটি
উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত হয়। থানার প্রশাসনিক এলাকা গোদাগাড়ী উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই ইউনিয়নগুলো হলো: গোদাগাড়ী, মোহনপুর, পাকড়ী, রিশিকুল, গোগ্রাম, মাটিকাটা, দেওপাড়া, বাসুদেবপুর ও চর আষাড়িয়াদহ।
🌏🌏🪐🪐ভৌগোলিক অবস্থান
গোদাগাড়ী থানা রাজশাহীর পশ্চিমে অবস্থিত। উত্তরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উপজেলা ও তানোর উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও গঙ্গা নদী, পূর্বে পবা উপজেলা, পশ্চিমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা।
🏢 প্রশাসনিক কাঠামো
গোদাগাড়ী থানা রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার একটি থানা। এই থানার প্রশাসনিক এলাকা গোদাগাড়ী উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। থানার কার্যক্রমের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ অন্তর্ভুক্ত।
আরো রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দুই টি পুলিশ ফাঁড়ি ছোট ছোট বিট পুলিশিং অফিস।
🎸🎷🎺ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি
গোদাগাড়ী থানা এলাকায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য গৌরাঙ্গবাড়ী মন্দির, মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য হযরত শাহ্ সুলতান (রহ:) এর মাজার উল্লেখযোগ্য। এছাড়া সাফিনা পার্ক, খেতুরীধাম, সরমংলা ইকোপার্ক, ঠাকুর নরোত্তম দাসের বাড়ী ও আলিবর্দি খাঁর কেল্লা ধ্বংসাবশেষ দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।
🧑💼 বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব
গোদাগাড়ী থানা এলাকার কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন:
ব্যারিস্টার আমিনুল হক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাবেক মন্ত্রী ও ভাইস চেয়ারম্যান।
মোঃ খলিলুল্লাহ (মহাজন): বাংলা ভাষায় কাব্য রচনা ও গোদাগাড়ীর ইতিহাস নামক গ্রন্থ রচয়িতা।
এনামুল হক: সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক ও সাবেক আইন কমিশনের সদস্য।
আসাদুজ্জামান” বাংলাদেশের “বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” (বিএমডিএ)-এর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি “বরেন্দ্রর প্রাণ পুরুষ” হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
📚📝💸শিক্ষা ও অর্থনীতি
গোদাগাড়ী থানা এলাকা শিক্ষা ও অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ। এখানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩০টি মাদ্রাসা, ১২টি কলেজ ও ৫০টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। শিক্ষার হার ৪৬.৩০%। অর্থনীতির মূল ভিত্তি কৃষি, যেখানে ধান, গম, আলু, ভুট্টা, পাট, ছোলা, টমেটো, আখ, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়। পদ্মা ও মহানন্দা নদীর মোহনায় অনেক ধরনের মাছ সংরক্ষণের একমাত্র স্থান সুলতানগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত।
🏬থানার ভবন ও অবকাঠামো
গোদাগাড়ী মডেল থানার জমি পুলিশ বিভাগের নামে রেকর্ড করা হয়েছে। থানার নতুন ভবন, রান্নাঘর ও খাবার ঘর ১৯৮৮-১৯৯২ সালে নির্মিত হয়েছে। তবে অফিসার ইনচার্জসহ অন্যান্য অফিসারদের থাকার কোন ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ এসআই ও এএসআই থানা কম্পাউন্ডের বাইরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। থানার ভবনটি নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের ঝুঁকি থাকে। এ কারণে ভবনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী মহাসড়কের নিকটবর্তী কোন স্থানে স্থানান্তরের প্রস্তাব রয়েছে।
🚔🖥️ যোগাযোগ ও সেবা
গোদাগাড়ী থানার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সেবা ও তথ্য পাওয়া যায়। এখানে মাসিক কর্মসূচি, কার্যবিবরণী, বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভার কার্যবিবরণীসহ বিভিন্ন তথ্য আপলোড করা হয়। এছাড়া নাগরিক সনদ, ভূমি সেবা, ই-মোবাইল কোর্ট, অনলাইন আবেদনসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়।
গোদাগাড়ী থানা এলাকার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে উপজেলা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও স্থানীয় প্রশাসনিক দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
গোদাগাড়ী মডেল থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হলেন মুহাম্মদ রুহুল আমিন, যিনি ডিসেম্বর ৭, ২০২৪ তারিখে এই থানায় যোগদান করেছেন (police.rajshahi.gov.bd)।
👮♂️ ওসির পেশাগত সাফল্য ও স্বীকৃতি্
রাজশাহী জেলা পুলিশের “সেরা ওসি”: মে ২০২৫ মাসে পরপর দ্বিতীয়বার র্যাঙ্কিংয়ে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ।
আইজিপি এক্সাম্প্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ (IGP’s Badge) অর্জন করেছেন—বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পেশাগত স্বীকৃতি—২০২৫ সালের ১ মে ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে IGP বাহারুল আলম কর্তৃক স্বর্ণপদকে ভূষিত
👮🏽♂️নেতৃত্বে রুহুল আমিনের বিশেষ উদ্যোগ
মাদক ও কিশোর গ্যাং দমন: দায়িত্বের শুরু থেকেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, কিশোর গ্যাং নির্মূল ও নারী-শিশু সুরক্ষা বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন ।
বিষয় বিবরণ : নাম মুহাম্মদ রুহুল আমিন যোগদানের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ স্বীকৃতি – জেলা পুলিশ “সেরা ওসি”– IGP সম্মাননা ব্যাজ (১ মে ২০২৫) প্রধান উদ্যোগ মাদক–গ্যাং দমন, কমিউনিটি পুলিশিং, মানবিক পুলিশিং
ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন গোদাগাড়ী থানার নেতৃত্বে একটি পেশাদার ও জনবান্ধব চিত্র উপস্থাপন করেছেন ও তার সাহসী পদক্ষেপে থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন।