মোঃ মেহেদী হাসান সোহাগ :
গাজীপুর মেট্রোপলিটন টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৫৬ নং ওয়ার্ড ব্যাংক মাঠ বস্তি (কো-অপারেটিভ মাঠ) এর শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা বেগম। এলাকায় সে বড় আপা নামে খ্যাত, এছাড়াও তাকে জামালের বউ নামে বেশি পরিচিত। তিনি টঙ্গীর অন্যতম শীর্ষ ফেনসিডিল ব্যবসায়ী হিসাবে বেশি পরাচিত। টঙ্গীর কোথাও ফেনসিডিল পাওয়া না গেলেও আরফিনার কাছে সব সময় পাওয়া যায়। মাদক ব্যবসার কাজে আরফিনাকে সহযোগিতা করেন তার ভাই শ্রাবণ ও স্বামী জামাল। বস্তিতে বসে দেদারছে মাদক কারবার চালিয়ে গেলেও গত ৬/৭ বছরে আরফিনাকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ একবারও আটক করতে পারেনি। অসাধু কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও আওয়ামীলীগের কিছু ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতার নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে আরফিনা চালিয়েছে মাদকের ব্যবসা। ব্যাকের মাঠ বস্তি টঙ্গী পূর্ব থানা থেকে কয়েক শত গজ দুরে অবস্থিত। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে একদিনও টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ আরফিনাকে গ্রেফতার করতে পারেনি নাকি অন্য কোন অদৃশ্য ইশারায় তাকে গ্রেফতার করেননি পুলিশ ? আরফিনা ফেনসিডিল ব্যবসায়ে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে। তার মাদক ব্যবসাকে আড়াল ব্যাংক মাঠ বস্তিতে নিয়েছেন এল পি গ্যাস সিলিন্ডারের ডিলার। এই গ্যাস সিলিন্ডারের আড়ালে চলে মাদকের জম জমাট ব্যবসা। কিন্তু টঙ্গী পূর্ব থানায় অনেক ওসি, ডিসি আসলো গেলো কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি নাকি ইচ্ছা করেই করেনি এই প্রশ্ন এলাকাবাসীর ? আসলে সে গ্রেফতার না হওয়া এটা কিসের কেরামতি?
মাদক ব্যবসায়ী আরফিনার বিরুদ্ধে বস্তির ব্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন আরফিনা যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। আরফিনার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস রাখেনা কারণ সে এলাকার স্থানীয় নেতা, পুলিশ এবং সাংবাদিক কে ম্যানেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। আগে আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতার শেল্টারে চলতো ৫ ই আগস্টের পরে কিছু বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। আরফিনার বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্র পত্রিকায় একাধিক বার সংবাদ প্রকাশিত হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই।
এ বিষয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এই জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমার থানা এলাকায় সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা রি-কভার ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারি না।
বস্তির মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যপারে তথ্য সংগ্রহ চলছে। প্রত্যেকের নামে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। খুব শিগগির ব্যাপক আকারে মাদকবিরোধী অভিযান হবে টঙ্গীর বস্তিগুলোতে।’ এ ছাড়া নিয়মিতই মাদকসহ গ্রেফতার করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।