স্টাফ রিপোর্টার ইমরান মাতুব্বরঃ
শিক্ষার মান উন্নয়ন ও নকলমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য। আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং সরকারী কর্মকর্তা,সরকার যে ভাবে চালাবেন আমি সেই নির্দেশনা মোতাবেকই চলবো। সরকারের পরিপত্রের বাইরে আমি কিছুই করবো না।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায়, সরকারি মুকসুদপুর কলেজের সদ্য যোগদানকৃত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সেবা ও শিক্ষাদানের জন্যই এসেছি। আমাকে সবাই কলেজের পরিবেশ রক্ষায় সহোযোগীতা করবেন এই প্রত্যাশা করছি। কলেজের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি সবার সর্বক্ষনিক সহোযোগীতা কামনা করছি। সরকারী কলেজে সরকারী নির্ধারিত ফি নিতে হবে। ফি বেশি নেওয়া বা অনৈতিক কোনো কাজ আমার এখানে চলবে না। আমি শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বলে দিয়েছি কেউ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করবেন না এবং দিবেন না।
আপনাদের সহযোগিতা এবং আমার সৎ উদ্দেশ্য দিয়ে এই কলেজকে একটি মডেল হিসেবে তৈরি করতে চাই।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে সরকারি মুকসুদপুর কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে, উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে সদ্য যোগদানকৃত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি মুকসুদপুর কলেজের প্রভাষক ও মুকসুদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা মাহবুব হাসান বাবর, প্রভাষক ড. কবির উদ্দিন আহম্মেদ, মুকসুদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, মুকসুদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও বাংলা টিভি প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মিন্টু শরিফ, মুকসুদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নাহিদ পারভেজ জনি, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুর রোমান, মুকসুদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হুসাইন আহমেদ কবির, দপ্তর সম্পাদক বাদশাহ মিয়া, সহ দপ্তর সম্পাদক আরটি হাসান, সাংবাদিক আশিক মুন্সি প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান অধ্যক্ষ হিসেবে সরকারি মুকসুদপুর কলেজে যোগদান করেন। এর আগে তিনি কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরু দয়াল কলেজ, ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী কলেজ সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ এবং সর্বশেষ তিনি ডাসার সরকারি মহাবিদ্যালয়ে মাদারীপুর এ অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।