এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (নওগাঁ) প্রতিনিধি,দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ হয় এইচ.এস.সি পরীক্ষার মাধ্যমে। এই সময় শিক্ষার্থীদের জীবনে আসে এক নতুন মোড়, নতুন স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের প্রতীক্ষা। এ উপলক্ষে লার্নার’স ড্রীম কোচিং পয়েন্ট আয়োজন করেছিল এক হৃদয়স্পর্শী বিদায় অনুষ্ঠান।
বিদায় অনুষ্ঠানের দিনটি ছিল এক আনন্দঘন ও স্মৃতিময় দিন। সকাল থেকেই কোচিং সেন্টারটি সাজানো হয় বর্ণিল ফেস্টুন, বেলুন ও ফুল দিয়ে। অনুষ্ঠানের শুরু হয় নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আসন গ্রহণের মধ্য দিয়ে। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী আসনে বসে এক গাম্ভীর্যপূর্ণ ও আবেগঘন পরিবেশে। উপস্থিত ছিলেন কোচিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবকরাও।প্রারম্ভিক আনুষ্ঠানিকতার পর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কোচিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জনাব মোঃ শাহীন ফেরদৌস(পিন্টু)।প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব মোঃ জিল্লুর রহমান,প্রভাষক,নিয়ামতপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ,এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনাব গোপাল চন্দ্র-ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-নিয়ামতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ,জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম, জনাব মোঃ আঃ রউফ (সেন্টু),এছাড়া ও অনান্য শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।বক্তব্যে পরিচালক স্যার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের পথচলার জন্য শুভকামনা জানান এবং নানা মূল্যবান উপদেশ দেন। এরপর ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখে কয়েকজন পরীক্ষার্থী। তারা তাদের স্মৃতিচারণ করে ও শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।বক্তব্য পর্ব শেষে শুরু হয় মধাহ্ন ভোজ। সুস্বাদু খাবারে ভরপুর এক পরিবেশন ছিল সেখানে। সবাই একসাথে খাওয়া-দাওয়া করে আরও ঘনিষ্ঠতা ও আন্তরিকতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়। হাসি-আড্ডায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ।দুপুর শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে ছিল গান, কবিতা আবৃত্তি, নাচ এবং নাটিকা। ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ছিল প্রাণবন্ত পরিবেশনা। শিক্ষকরাও অংশ নেন কিছু বিনোদনমূলক পর্বে, যা অনুষ্ঠানকে করে তোলে আরও আনন্দদায়ক ও স্মরণীয়।অনুষ্ঠানের শেষে পরীক্ষার্থীদের হাতে স্মারক ও শুভেচ্ছাপত্র তুলে দেওয়া হয়। সবাই একসাথে ছবি তোলে এবং মনের মধ্যে রেখে দেয় একটি অমলিন স্মৃতি।
এই বিদায় অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন আনন্দের, তেমনি এক আবেগপূর্ণ বিদায়ের মুহূর্তও বটে। এই অনুষ্ঠান তাদের জীবনের এক চিরস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।