আবু রায়হান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
চলতি মাসের ১৩ তারিখে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সন্তোষজনক সময় নির্ধারণের পর ত্রয়োদশ নির্বাচনের জন্য ঘর গোছাচ্ছে বিএনপি। প্রার্থী বাছায়ে যোগ্য ব্যাক্তি নির্বাচন দলটির জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিএনপির হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী অসংখ্য প্রার্থী ইতোমধ্যে গণসংযোগে নেমেছেন। যদিও দলটির হাইকমান্ড উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ে ইতোমধ্যে কয়েক দফা জরিপ চালিয়েছে।
বিএনপি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে- এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আগাচ্ছে দলটি। প্রার্থী বাছাইয়ে দলটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এর জন্য ইতোমধ্যে একাধিক জরিপ সম্পন্নের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিএনপির একটি বিশ্বস্ত সূত্র।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি যোগ্যতাকে অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
মানদন্ডের তিন যোগ্যতাঃ
* ত্যাগ ও সংগ্রাম: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে দেশ ও দলের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকারকারী প্রার্থী।
** সততা ও সুনাম: সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং স্থানীয় জনগণের কাছে ভালো মানুষ হিসেবে সুপরিচিত ব্যক্তি।
জনপ্রিয়তা: নির্বাচনী এলাকায় ভোটের রাজনীতিতে জনপ্রিয় প্রার্থী।
অবশ্য নির্বাচন কমিশনের তফশিল ঘোষণার পর দলীয়ভাবে মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের পর একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ড।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন সহ একাধিক সদস্য আলাদা আলাদা ব্রিফিয়ে বলেছেন,দলের প্রতি কার কতটুকু ত্যাগ রয়েছে, নিঃস্বার্থভাবে দলকে সেবা করেছেন এবং দুর্দিনে যারা দলের সঙ্গে ছিলেন তাদের আমরা নিশ্চয়ই সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেব। তারেক রহমান কয়েকটি জরিপ করেছেন, আরও করবেন। নিশ্চয়ই যোগ্য ব্যক্তি উঠে আসবে এবং তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঘোষণার মানদন্ডের তিন যোগ্যতাই ইতিমধ্যে যশোর জেলার সংসদীয় ছয়টি আসনের যোগ্য প্রার্থীদের সম্ভাব্য তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় একটি বিশ্বস্ত সূত্র মাধ্যম।
বিশ্বস্ত ঐ সূত্রের সম্ভাব্যপ্রার্থীর তালিকা মতে,ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে এবার যশোর -১ মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর – ২ সাবিরা নাজমুল মুন্নি, যশোর – ৩ অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর -৪ ইঞ্জিঃ টি এস আইয়ুব, যশোর – ৫ এ্যাড. শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন,যশোর – ৬ আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ হচ্ছেন ধানের শীষের কান্ডারী।
সংসদীয় আসন যশোর ৫ (মণিরামপুর) এর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড: শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেনের নাম ঝড়ের বেগে সোস্যাল মিডিয়ায় রিতীমতো সাাড়া জাগিয়েছে জনমনে।
মণিরামপুর রাজনৈতিক মহলে “ব্লাক ডায়মন্ড” খ্যাত এ্যাড: শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন নিজস্ব যোগ্যতা ও দূরদর্শী নেতার ভূমিকায় থেকে ১৯৯১,১৯৯৬ এবং ২০১৮ সালের যে নির্বাচনে অংশ নিয়েও রাতে ভোটের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে আসে বিএনপি সে নির্বাচনেও বিএনপির একমাত্র মনোনীত প্রার্থীর টিকিট যশোর-৫(মণিরামপুর) আসনে পেয়েছিলেন জনতার ঘোষিত এমপি এ্যাড: শহীদ ইকবাল হোসেন।
এবারও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় তিনিই এগিয়ে আছেন এ খুশিতে নেতাকর্মী থেকে সাধারণ জনগনের মাঝেও মণিরামপুরে বইছে খুশির হাওয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ সোস্যাল মিডিয়ার একাধিক প্লাটফর্মে রেকর্ডীয় তারতম্যে’র লাইক,শেয়ার,কমেন্টসে হাই প্রফাইলে জায়গা পেয়েছে যে লেখা – জনতার এমপি জননেতা আলহাজ্ব এ্যাড: শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। ৮৯ যশোর-৫ মনিরামপুর আসনে আপনিই একমাত্র যোগ্য প্রার্থী।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই-সংগ্রামে দেশ ও দলের যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং এলাকার জনগণের কাছে একজন ভালো মানুষ হিসাবে সুপরিচিত তিনি। ভোটের রাজনীতিতে যিনি তার নির্বাচনি এলাকায় সর্বোচ্চ জনপ্রিয়।
প্রিয় নেতা মণিরামপুরে আপনার বিকল্প আপনিই, এমনই সব প্রশংসায় পঞ্চমুখ মণিরামপুর সংসদীয় আসনের ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেনের সমর্থিত সিনিয়র নেতাকর্মী থেকে সাধারণ জনগন পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, স্বৈরাচারী শাষকের “ডেথ সেভেনটিন” শাষনামলেও এ্যাড; শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন বীরদর্পে মণিরামপুরে সাংগঠিন নির্দেশনা শতভাগ মেনে উপজেলা বিএনপিকে আগলে রেখেছে কুট-কলা-কৌশলী রাজনৈতিক চরিত্রে। রাত-দিন ভুলে কবরস্থান থেকে শ্বশানঘাট, নতুন দেশ গঠনে যুব সমাজের অহংকার হয়ে খেলার মাট।
সচেতন মহলের ধর্ম-বর্ণ সমান্তরালে রেখে ভাবগাম্ভীর্যের নির্দিষ্টতায় সাড়ে ৪ লক্ষ জনগনের কল্যানকর নির্বাচিত ব্যক্তির পাশাপাশি আম জনতার কাক্ষিত প্রার্থী হিসাবে চায়ের দোকানের আলোচনায় এখন মণিরামপুরে সংসদীয় প্রার্থীর জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে এ্যাড: শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন।
স্বৈরাচারী শাষনামলেও দলের ক্রান্তিলগ্ন থেকে হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে দলের হয়ে অগ্রণী ভূমিকার পর এখনো পর্যন্ত উপজেলা বিএনপিকে সু-সংগঠিত করতে নেতৃত্বের বিচারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর ৫ (মণিরামপুর) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে শতভাগ দাবী করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড; শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন। তবে বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ড যদি অন্য কাউকে যোগ্য প্রার্থী মনে করে মনোনীত করে, আমরা মণিরামপুর উপজেলা বিএনপি ঐ ধানের শীষের টিকিট ধারীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করব বলেও অভিমত প্রকাশ করেছেন তিনি।
দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে “ভবদহ” সমস্যার স্থায়ী সমাধানকে প্রধান টার্গেট নিয়ে মণিরামপুর উপজেলা বাসীর সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে থাকার প্রতিশ্রুতির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যশোর-৫(মনিরামপুর) সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাড: শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন।