1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বাগেরহাটে বিএনপি প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হবে আন্তর্জাতিক টুরিস্ট স্পট: মেয়র ডা. শাহাদাত রাজশাহীর বাগমারায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ পাবনা রেজিস্ট্রার অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতি- দলিলদাতা ও সেবাপ্রত্যাশীরা অতিষ্ঠ অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না গার্মেন্টস কর্মী ফরিদা বেগমের। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হবে আন্তর্জাতিক টুরিস্ট স্পট: মেয়র ডা. শাহাদাত লক্ষ্মীপুরে আদালতে আইনজীবীও কর্মচারীদের হাতাহাতি। র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপ*হরণকৃত রোহিঙ্গাকে উ*দ্ধার অপহ*রনকারী সুমন আ*টক । শ্রীমঙ্গল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোবারক হোসেন খানকে রাজনগর থানার ওসি হিসেবে পদায়ন মোটরসাইকেলের সাথে ব্যাটারী চালিত ভ্যানের সং,ঘ,র্ষে ভ্যানচালকের মৃ,ত্যু

হারিয়ে যাওয়ার ২৯ দিন পর জান্নাত খুঁজে পেলো তার পরিবারকে

আব্দুর রহমান সোয়েব, প্রভাতী বাংলাদেশ 
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

আব্দুর রহমান সোয়েব, প্রভাতী বাংলাদেশ 

মাত্র ১০ বছরের ছোট্ট মেয়ে জান্নাত। হারিয়ে গিয়েছিল প্রিয় মুখ, পরিচিত পৃথিবী, এমনকি নিজের বাড়ির ঠিকানাও মনে রাখতে পারেনি ঠিকমতো। অপহরণের ২৯ দিন পর, অবশেষে মনপুরায় একদল তরুণ ও প্রশাসনের মানবিক প্রচেষ্টায় ফিরে পেল তার আপন ঠিকানা, ফিরে পেল বাবা-মায়ের কোল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৫ মে ২০২৫ তারিখে, যখন ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে জান্নাতকে অপহরণ করে একটি চক্র। অপহরণকারীরা জান্নাতকে ময়মনসিংহ থেকে নিয়ে গিয়ে বরিশালে আটকে রাখে। পরবর্তী ২৯ দিন তাকে একটি গোপন জায়গায় রেখে প্রতিদিন শুধু রুটি ও ডাল খেতে দেওয়া হতো। শিশুটিকে কঠোরভাবে হুমকি দেওয়া হতো কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলা হবে।”

১৭ মে ২০২৫ তারিখে জান্নাতের বাবা-মা মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, মেয়েটির সন্ধান চেয়ে। এরপরেও মেয়েটির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

১২ জুন ২০২৫ তারিখে, অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য কোনো এক অজানা কারণে ১২ তারিখ প্রায় সন্ধ্যা ৬ টায় বরিশালের বেদুরিয়া লঞ্চে জান্নাতকে উঠিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। ঠিক সেসময়, চিকিৎসার জন্য ভোলা গিয়েছিলেন মোঃ আব্দুর রহমান সোয়েব ও তার দুই বন্ধু। জান্নাতকে প্রথম বেদুরিয়া লঞ্চে খুঁজে পান সোয়েবের বড় ভাই জনাব মোঃ সোহেল তাজের বন্ধু মোঃ আরিফ। তিনি বিষয়টি বুঝে মেয়েটিকে সোয়েবের কাছে বুঝিয়ে দেন।

সোয়েব মেয়েটির নাম ও তার বাবা-মায়ের নাম জানতে পারেন, তবে সে নিজের ঠিকানা বা জেলা বলতে পারছিল না। পরের দিন সকাল ৯টায় তিনি শিশুটিকে মনপুরা থানায় নিয়ে যান এবং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব আহসান কবির ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে বিষয়টি অবহিত করেন।

মনপুরা থানার ওসি আহসান কবির অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি গ্রহণ করেন এবং এসআই সাগর দে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার থানায় তথ্য পাঠিয়ে খোঁজ চালাতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ জুন বিকেল ৪টার দিকে মুক্তাগাছা থানার এসআই রতন ও বিশ্বজিৎ-এর সহায়তায় জান্নাতের পরিবারের অবস্থান শনাক্ত হয় এবং ভিডিও কলে মেয়েটির সঙ্গে তাদের কথা হয়।

১৪ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে জান্নাতের বাবা-মা মনপুরা থানায় এসে মেয়েকে ফিরে পান। মেয়েকে পেয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন — দীর্ঘ ২৯ দিন পর ভালোবাসার এক পুনর্মিলন ঘটে মনপুরার মাটিতে।

১৫ জুন ২০২৫ তারিখে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আহসান কবির যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জান্নাতকে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় বুঝিয়ে দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই অপহরণ চক্রকে শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে, এবং খুব শিগগিরই দায়ীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

এই পুরো ঘটনায় যে মানবিকতা, সাহসিকতা ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন মোঃ আব্দুর রহমান সোয়েব, ও তার দুই বন্ধু মোঃ আল-আমীন শান্ত, এবং মোঃ সাইদুর রহমান রোমান সহ মনপুরা থানা পুলিশ এবং সংশ্লিষ্টরা—তা সত্যিই অনুকরণীয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট