বিশ্ব বাবা দিবস: শ্রদ্ধা আর নিঃশর্ত ভালোবাসার এক দিন
দোয়েল আহম্মেদ, বাগমারা উপজেলা প্রতিনিধি
আজ ১৫ জুন, রবিবার—বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবারটি পৃথিবীর নানা প্রান্তে উৎসর্গ করা হয় সেই মানুষটির প্রতি, যিনি নিরবে-নিভৃতে পরিবারের জন্য লড়াই করেন, যাঁর কাঁধে ভর করে একটি শিশুর জীবন গড়ে ওঠে।
বাবা, শব্দটা ছোট হলেও এর অন্তর্নিহিত অর্থ বিশাল।
জীবনের প্রথম নিরাপত্তা, প্রথম সাহস, প্রথম হাত ধরার অনুভূতি—সবকিছুরই নাম বাবা। আর সেই বাবাদের সম্মান জানাতে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে শুরু হয় এই দিবস পালনের ধারা।
বাবা দিবসের ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়,
১৯০৮ সালের ৫ জুলাই আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে এক গির্জায় প্রথমবারের মতো এই দিনটি পালন করা হয়। তবে, সনোরা স্মার্ট ডড নামের একজন নারী ওয়াশিংটনে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বাবার সম্মানে একটি দিন পালনের ভাবনা আনেন। তাঁর বাবা, একজন একক পিতার সংগ্রাম তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
এই ছোট্ট ভাবনাটি ধীরে ধীরে পরিণত হয় এক বৃহৎ আন্তর্জাতিক দিবসে। ১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ফাদারস ডে’ হিসেবে ঘোষণা করেন।
আজ এই দিনে বিশ্বজুড়ে হাজারো সন্তান তাঁদের বাবাকে ভালোবাসা জানায়, তুলে ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার গল্প।
কেন পালন করি বাবা দিবস?
কারণ বাবার ভালোবাসা শব্দে প্রকাশযোগ্য নয়।
তাঁর ভালোবাসা কখনো উচ্চকণ্ঠে আসে না, আসে নিঃশব্দে।
তাঁর ত্যাগের গল্প কখনো চোখে পড়ে না, অনুভবে বাজে।
তাঁর ভালোবাসা চাহিদা পূরণের আশ্বাসে নয়, বরং প্রেরণার ছায়ায়।
আজকের এই দিনে আমরা শুধু স্মরণ করি না, কৃতজ্ঞচিত্তে জানাই শ্রদ্ধা।
বাবা মানে শুধু পরিবার প্রধান নয়, তিনি হচ্ছেন পরিবার নামক পৃথিবীর ভিত।
তাই, বাবা দিবস শুধুই একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি এক আবেগঘন শ্রদ্ধার উৎসব,
যেখানে ভালোবাসা নিঃশব্দে বলে উঠে—
“বাবা, আপনি আমার জীবনের ন