একটি নাম, একটি ইতিহাস: আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তক)
এম, এ, ফারুকী- কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের নতুনগ্রাম (দিগলা পাড়া) গ্রামের সন্তান আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তক) – শুধু একটি নাম নয়, বরং এই নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ত্যাগ, নিষ্ঠা ও জনসেবার দীর্ঘ ইতিহাস।
প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের ঘরেই তার জন্ম। তার পিতা আলহাজ্ব মনসুর আহমদ পাকিস্তান আমলে এমএলএ (বর্তমানে সংসদ সদস্য পদে সমতুল্য) ছিলেন। ঐতিহ্যবাহী এই পরিবারটি বহু বছর ধরে অত্র অঞ্চলে প্রভাব, সম্মান ও জনসম্পৃক্ততায় উজ্জ্বল। পৈতৃকভাবে বিশাল ধন-সম্পদের মালিক হয়েও মোস্তক সাহেব সাদাসিধে জীবনযাপন ও সাধারণ মানুষের সেবা করার মাঝেই খুঁজে পান প্রকৃত আনন্দ।
শৈশব থেকেই তিনি বিনয়, আন্তরিকতা ও জনসম্পৃক্ততাকে জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছেন। একজন সফল ব্যবসায়ী হয়েও তিনি জনসেবাকে প্রধান দায়িত্ব মনে করেন।
তার নেতৃত্বে রৌমারীর কর্তিমারী বাজারে গড়ে উঠেছে “মোহাম্মাদিয়া হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার” — যা বর্তমানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পাশাপাশি তার উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে রৌমারী উপজেলার সবচেয়ে বড় জামে মসজিদটি, যেটি ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রার্থনার কেন্দ্র হয়ে উঠছে।
এখানেই শেষ নয়। রাস্তাঘাট সংস্কার, জনপথ উন্নয়ন, এবং দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো – সব কিছুতেই আলহাজ্ব মোস্তাক সাহেবের অসামান্য অবদান রয়েছে। নিজের অর্থায়নে তিনি বহু গ্রামের রাস্তা মেরামত ও নির্মাণ করেছেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনেও তিনি বহুদিন ধরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রৌমারী উপজেলা শাখার তিনি বারবার নির্বাচিত উপজেলা আমীর ছিলেন। বর্তমানে তিনি দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ২৮, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মাঠে আছেন।
জনগণের কাছে তার আবেদন—তিনি নেতা নন, জনগণের সেবক হয়ে থাকতে চান। তার কাজ, চিন্তা ও দর্শন—সব কিছুতেই সাধারণ মানুষের কল্যাণই অগ্রাধিকার পায়।
আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তক) কেবল একজন প্রার্থী নন, বরং রৌমারীর এক আদর্শ মানুষ, যিনি প্রমাণ করেছেন নেতৃত্ব মানেই ক্ষমতা নয়—বরং তা হলো জনগণের সেবায় আত্মনিবেদন।