ফখরুল ইসলাম, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
আজ (১২জুন ২০২৫) বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁশখালীর সাধারণ ছাত্র সমাজ নামক সংগঠনের ডাকে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সাধারণ ছাত্র সমাজের পক্ষ হতে প্রশাসনের কাছে, অভিযুক্ত প্রবীর চৌধুরীর
সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাসহ বেশকয়েকটি দাবি পেশ কর হয়।
আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সা.)- এর শানে অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে মামলা রুজু ও গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা গ্রহণ সহ রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্ল্যাসফেমি আইনে রাষ্ট্র পক্ষ থেকে মামলা করতে হবে।
আগামী এক মাসের মধ্যে নবী অবমাননাকারী প্রবীর চৌধুরীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে মনিটরিং ও কড়া নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।
সরকারিভাবে এ ধরনের অপরাধ দমনে বিশেষ আইন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ ছাত্র জনতা বাঁশখালীর অর্গানাইজার মাওঃ এমদাদ উল্লাহ,
আহ্বায়ক এ কে আর তালেব, সদস্য সচিব এইচ এম আব্বাস খান, সিনিয়র সদস্য রহিম উল্লাহ রিয়াদ, মাহমুদুল হাসান ত্বকী, সাইফুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন রাফি প্রমুখ
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন যে,আমরা বাঁশখালীবাসী চরম ক্ষোভ ও ব্যথার সঙ্গে লক্ষ্য করছি , প্রবীর চৌধুরী নামে এক উশৃঙ্খল ও উগ্রচিন্তাধারার ব্যক্তি আমাদের দ্বীন ইসলামের সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর ও হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) এর নামে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানে লিপ্ত হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য কেবল ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত নয়, বরং সমাজে চরম বিদ্বেষ, উসকানি ও সহিংসতার জন্ম দিতে পারে।তাই অভিযুক্ত প্রবীর চৌধুরীকে ফাঁসি দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে বাঁশখালীতে যেন কেউ (মহানবী সাঃ)এর শানে বেয়াদবির দুঃসাহস নাদেখায়।