নিজস্ব প্রতিবেদক
শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রায় তিন মাস ধরে নিয়মিত এক্স-রে সেবা পাচ্ছে না দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগীরা। হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন সচল থাকলেও ফিল্ম না থাকায় বাইরের ডায়াগণস্টিক সেন্টারগুলোতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে এক্স-রে করতে বাধ্য হচ্ছেন দুর দুরান্ত থেকে আসা অসহায় রোগীরা।
হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন রোগী নিয়মিত এমন দামী টেষ্ট করাতে পারতেন মাত্র ৫০ থেকে ৭০ টাকায় সেখানে বাইরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলিতে এক্স-রে করতে টাকা ব্যয় হচ্ছে ৪০০থেকে ১০০০ টাকা।
বিষয়টি নিয়ে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: গোলাম মোস্তফার সাথে কথা হলে তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান।
এবং অন্যান্য উপজেলা হাসপাতাল থেকে কিছু কিছু ফিল্ম হাওলাত করে আনা হচ্ছে বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, প্রায় তিন মাস হলো নকলা হাসপাতালে কোন এক্স-রে ফিল্ম নাই, তিন মাসে কোন উদ্যোগ নেয়নি ইউএইচও এন্ড এফপিও।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: গেলাম মোস্তফা নকলা হাসপাতালে যোগদান করেছেন প্রায় তিন বছর হলো এ পর্যন্ত তিনি একদিনও হাসপাতাল কোয়ার্টারে থাকেননি। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতালের আবাসিক এরিয়ায় কয়েকটি অফিসার্স কোয়াটার স্থাপন করে দিয়েছেন সেগুলিতে কোন ডাক্তারই থাকেন না। কোটি কোটি টাকার কোয়ার্টার ভবনগুলো সবই প্রায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এমনটাই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সরকারি প্রায় অর্ধকোটি টাকার গাড়ি ব্যবহার করে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় গিয়ে রাত্রি যাপন করেন নকলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: গোলাম মোস্তফা। হাসপাতালে সরকারী গাড়ি এম্বুলেন্স রাখার জন্য গ্যারেজ থাকলেও ইউএইচও’র জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী গাড়িটি থাকে ইউএইচও’র নিজ বাড়ীতে রেখে তার এবং পরিবারের সকল ব্যাক্তিগত কার্য সম্পাদন করেন বলে জানা গেছে এবং এম্বুলেন্সটি পড়ে থাকে সর্বক্ষণ বাইরে।