প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি
“দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার” পত্রিকার ২২/০৫/২০২৫ ইং তারিখের তিন নম্বর পাতায় “খাদেমদের সহযোগিতায় বায়েজিদ বোস্তামী মাজারে মাদকের আস্তানা, সংবাদ সংগ্রহে বাধা ও সাংবাদিকদের হুমকি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটি ও খাদেমদের পক্ষ থেকে উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ছৈয়দুল করিম ও দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ স্টাফ রিপোর্টার মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, উল্লেখিত অভিযোগ তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের কার্যালয় হতে বায়েজিদ বোস্তামী থানাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকে মাজারের খাদেমদের পক্ষ থেকে হাবিবুর রহমান, রবিউল, জাহাঙ্গীর আলম, সরোয়ার আলম, মোতালেবসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সময় ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমানের উপস্থিতিতে খাদেম রবিউলসহ অন্যান্য খাদেমগণ সাংবাদিকদের প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ বিষয়ে একটি রেকর্ডও সংরক্ষিত আছে। বৈঠকে ওসি তদন্ত নিজেও বলেন, বিষয়টি বাইরে গিয়েই মীমাংসা করা হোক। খাদেমদের পক্ষ থেকেও সাংবাদিকদের মাজার অফিসে গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানানো হয়।
পরবর্তীতে “দৈনিক নতুন দিন” পত্রিকার ফটো সাংবাদিক নুরুল আমিন (সুমন) এর মাধ্যমে মাজার পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খাদেম সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং একটি সমঝোতা বৈঠকের প্রস্তাব দেন।
যোগাযোগের জন্য খাদেম হাবিবুর রহমানের মোবাইল নম্বর: ০১৮১৮-৪৩৮৫৪৮।
ফলশ্রতিতে গত ০৮/০৫/২০১৫ইং তারিখ সকাল ১১:৩০টায় দরগাহ অফিসে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন “দৈনিক নতুন দিন” পত্রিকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান মোঃ শাহজালাল রানা, দরগাহ শরীফের সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান, রবিউল, জাহাঙ্গীর আলম, সরোয়ার আলম মোতওয়ালী ৫-৬ জন খাদেম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সাংবাদিক সাইদুল করিম ও মোঃ কামাল উদ্দিন, প্রত্যেক পক্ষের বক্তব্য নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। দীর্ঘ কথোপকথনের একপর্যায়ে দরগাহ সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসে, যাতে একটি পত্রিকায় ৫০ হাজার টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়। পরে তারা ৫ হাজার টাকা কমিশন বাদ দিয়ে ৪৫ হাজার টাকার প্রস্তাব দেন এবং এই প্রক্রিয়ায় সাংবাদিক সাইদুল করিমকে চাপ প্রয়োগ করে রাজি করানো হয়। এই বৈঠকের সম্পূর্ণ ভিডিও ও অডিও রেকর্ড আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
বৈঠকে দরগাহ অফিসের সেক্রেটারী নিজে জানান, দরগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), চট্টগ্রাম। তখন সাংবাদিক সাইদুল করিম ও দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ স্টাফ রিপোর্টার, সাংবাদিক মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, ” আমরা ডিসির বিরুদ্ধে নই, আমি মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধেই প্রতিবেদন করছি। তাই বলে কি আপনারা নিজেরাও অনিয়ম করবেন?” — এই কথার কোনো সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দরগাহ সংশ্লিষ্ট অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে খাদেমদের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করতে সাংবাদিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। একাধিক কল রেকর্ড ও ভিডিও প্রমাণ আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোঃ মাসুদ আলম ওরফে ‘সাগর’ (+৮৮০১৬১০২৩৪০৬৩), বাংলাদেশ সমাচার-এর ক্রাইম রিপোর্টার সাইদুল করিমকে ফোন করে মাদকবিরোধী সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেন। তিনি একপর্যায়ে বলেন, “তুমি নাকি মাজারে টাকা চেয়েছ”— এভাবে তিনি সাংবাদিককে উল্টাপাল্টা কথা বলেন এবং শেষপর্যন্ত নিউজ বন্ধের জন্য অনুরোধ করেন ও অফিসে এসে বিষয়টি সমাধান করার প্রস্তাব দেন।এছাড়াও, খাদেমদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি কথোপকথনের কল রেকর্ড এবং ভিডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।এমতাবস্থায়, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার, সাংবাদিকদের চরিত্রহনন এবং হেনস্তা করার যে অপচেষ্টা চলছে, তা একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সুপরিকল্পিত অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। মিথ্যাকে গোপন রাখতে একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।আমরা এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা প্রচার, সাংবাদিকদের হুমকি ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সত্য কোনোভাবে চাপা দেওয়া যাবে না, এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের এই অপচেষ্টা জনগণ ও প্রশাসনের দৃষ্টিতে প্রতিহত হবে